চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪

কাইছার হামিদ

নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথও আটকে গেল দণ্ডিত খালেদা জিয়ার 

প্রকাশ: ২০১৮-১১-২৭ ২০:৫৪:০৬ || আপডেট: ২০১৮-১১-২৭ ২০:৫৪:০৬

 

কাইছার হামিদ:

দুর্নীতির অভিযোগে দুই মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আপিল করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ আটকে গেছে হাইকোর্টের এক আদেশে।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেছে, সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কারো দুই বছরের বেশি সাজা বা দণ্ড হলে সেই দণ্ড বা সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যতক্ষণ না আপিলে ওই দণ্ড বাতিল বা স্থগিত হয়।

দুর্নীতির দায়ে আদালতের দেওয়া দণ্ড ও সাজা স্থগিত চেয়ে বিএনপির পাঁচ নেতার করা আবেদন খারিজের আদেশের সঙ্গে আজ মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) হাইকোর্টের এই পর্যবেক্ষণ আসে।

উল্লেখ্য, জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছর এবং জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৭ বছরের দণ্ড নিয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কেউ অন্যুন দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে মুক্তির পর পাঁচ বছর পর্যন্ত তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।

বিএনপি নেতারা আশা করছিলেন, বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে এবং উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে অতীতে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার নজির থাকায় খালেদাও একইভাবে আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।

কিন্তু আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের আদেশের ফলে খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ আর থাকছে না বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

খুরশীদ আলম বলেছেন, সম্পূর্ণ খালাস পেলে অথবা দণ্ড বাতিল হয়ে গেলে, তখন উনি পারবেন। আজকের আদেশে এটা আরো স্পষ্ট হল।

অন্যদিকে, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম দাবি করেছেন, ওই দুই মামলায় আপিল করে খালাস পেলে বা সাজা বাতিল হলেও পাঁচ বছর সংসদ নির্বাচনে তিনি অংশ নিতে পারবেন না।

এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হাইকোর্টের আদেশে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, এর পেছনে তারা সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছেন। এই রায় তারা মেনে নেবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *