মীর সোলায়মান রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০১৮-১১-২৯ ২১:৫২:৪২ || আপডেট: ২০১৮-১১-২৯ ২১:৫২:৪২
মীর সোলায়মান, রাঙামাটি :
রাঙামাটির লংগদুতে সৎপিতার বিরুদ্ধে ১১ বছরের এক শিশু কন্যাকে ধর্ষনের অপচেষ্ঠার অভিয়োগ পাওয়া গেছে। উপজেলার মাইনীমুখ ইউনিয়নের পশ্চিম বাইট্টাপাড়া এলাকায় এঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ওই কন্যা শিশুর বড় ভাই বাদী হয়ে লংগদু থানায় নারী শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণের অপচেষ্ঠার দায়ে মামলা দায়ের করলে পুলিশ সৎপিতা আল-আমিন (৩৫)কে আটক করে বৃহ®প্রতিবার কোর্টে প্রেরণ করেছে। এদিকে শিশু কন্যাকে ধর্ষণের চেষ্ঠা ও মানষিক নির্যাতনের কারণে এলকাবাসীর উদ্যোগে বৃহ®প্রতিবার সকাল এগারটায় পশ্চিম বাইট্টাপাড়া এলাকায় ধর্ষণের চেষ্টাকারীর ফাঁসী দাবী করে মানববন্ধন করেছে।
লংগদু থানা ও এলাকাবাসীর সূত্র জানায়, উপজেলার পশ্চিম বাইট্টাপাড়া এলাকার বাসিন্দা জাফর আলীর পুত্র আল-আমীন (৩৫) তার প্রথম স্ত্রী তিন সন্তানের জননী ফাতেমা বেগমকে রেখে সাত সন্তানের জননী এক বয়স্ক মহিলাকে বিয়ে করে আলাদাভাবে জীবন যাপন করতো। ওই মহিলার সাত সন্তানের মধ্যে দুই মেয়ের বিবাহ হয়েছে দুই ছেলে আলাদা থাকেন বাকী তিন কন্যানে নিয়ে এক সাথে থাকেন। লম্পট আল আমীন ও তার বয়ষ্ক স্ত্রী বিভিন্ন সময় ঘরের ভিতর অশালীনভাবে থকতো। এক সময় এই লম্পটের চোখ যায় তার সৎমেয়ে ওই এলাকার নামিজ টিলা আনন্দ স্কুলের ছাত্রী সদ্য সমাপ্ত সমাপনি পরীক্ষার্থীর উপর। সে বিভিন্ন সময় ঘরে একা থাকাকালে ওই শিশু কন্যাকে অশালীন কাজে লিপ্ত হওয়ার জন্য বাধ্য করার অপচেষ্ঠা করে। এতে সে রাজী না হলে তাকে বিভিন্নভাবে ভয় দেখাতো। পিতার এইসব কুপ্রস্তাবে রাজী হওয়ার জন্য তার মাও তাকে প্ররোচনা করতো। অনেকদিন ধরে চলা এইসব অপকর্মের কথা ভয়ে এতোদিন চুপ থাকলেও বুধবার আবারো ধর্ষণের চেষ্টা করলে তখন ওই শিশুকন্যা বাধ্য হয়ে তার বড় বোন ও পাশবর্তী লোকজনকে জানালে তখন ঘটনা জানাজানি হয়। ওই কন্যাশিশুটির বড় ভাই বাদী হয়ে লম্পট আল আমিনের বিরুদ্ধে থানায় নারী, শিশু নির্যাতন (সংশোধন) আইনে মামলা দায়ের করে।
নিজের সন্তান তুল্য শিশু কন্যাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা ও শারিরীক নির্যাতন করেই এতেই ক্ষান্ত নয় লম্পট আল আমিন। তার বিরুদ্ধে রয়েছে বিভিন্ন পশু নির্যাতন ও চুরির অভিযোগ।
লংগদু থানার পরিদর্শক (তদন্ত ওসি) মহিউল আলম জানান, আল-আমিনের বিরুদ্ধে ধর্ষনের চেষ্টায় লংগদু থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সংশোধিত) আইনে ও পশু নির্যাত ও হত্যার সহ মোট দুটি মামলা মামলা হয়েছে। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আল-আমীনকে আটক করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।