চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

বেলাল আহমদ বিশেষ প্রতিনিধি

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাহাড়ের মানুষের বিপদে পাশে ছিল এবং থাকবে: করা্ণেল সইফ শামীম 

প্রকাশ: ২০১৮-১২-০২ ১৯:৫২:৩৬ || আপডেট: ২০১৮-১২-০২ ১৯:৫৪:০৫

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় পাহাড়ের মানুষের বিপদে পাশে ছিল এবং থাকবে। ভাল কাজ করেও আমাদের গায়ে কালিমা লাগানো হয়, তখন খারাপ লাগে। যতই বাধা আসুক বিপদগ্রস্থ পাহাড়ি বাঙ্গালী মানুষের পাশে থাকব আমরা। আলীকদম জোনের অধিনে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা ও চাঁদাবাজি আমি সহ্য করবনা। সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরাধীদের কোন ধর্ম, বর্ণ ও গোত্র নেই। তাদের পরিচয় তারা সন্ত্রাসী। তাদের জন্য আমাদের বুলেট প্রস্তুত রয়েছে। আলীকদম সেনা জোনের আয়োজনে শান্তি চুক্তির ২১তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় এইসব কথা বলেন, জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল মো. সাইফ শামীম (পিএসসি)। ২রা ডিসেম্বর ২০১৮ইং রোববার বান্দরবানের আলীকদম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিশাল এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বর্ণাঢ্য এই আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, লামা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল, আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী, লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর এ জান্নাত রুমি, আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজিমুল হায়দার, লামা পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন আহম্মেদ, লামা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী, আলীকদম থানা অফিসার ইনচার্জ রফিক উল্লাহ, লামা থানা অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা।

 

লামা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান ও আলীকদম আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পাই নু সাং মার্মা অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।

সকাল ৯টায় বিশাল আনন্দ র‌্যালীর মধ্যদিয়ে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান শুরু হয়। এছাড়া ২১ বছর পূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভা, শীতবস্ত্র বিতরণ, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান ও ঔষধ বিতরণ, দুপুরে প্রীতিভোজ, বিকেলে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ও রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আলীকদম জোনের ২৩ বীর ইউনিট।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর তৎকালীন শান্তি বাহিনী নেতা জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) ও সরকারের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘ দুই দশকের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম বন্ধে একটি চুক্তি হয়। যেটি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বা শান্তি চুক্তি নামে খ্যাতি পেয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *