প্রদীপ শীল রাউজান প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০১৯-০১-০৮ ০০:১২:৩৮ || আপডেট: ২০১৯-০১-০৮ ০০:১২:৩৮
প্রদীপ শীল, রাউজানঃ রাউজানে মানুষের প্রাণের দাবি ছিল চতুর্থ বার নির্বাচিত সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরীকে মন্ত্রী পরিষদে স্থান দেয়ার। কিন্তু গত ৬ জানুয়ারী মন্ত্রী পরিষদ থেকে প্রকাশ পাওয়া তালিকায় রাখা হয়নি ফজলে করিম চৌধুরীকে। এই নিয়ে চট্টগ্রাম জুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে। সাংসদের অনুসারী, শুভনাধ্যায়ী ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন নিজ নিজ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে স্ট্যাটাস দিয়েছে। তৎমধ্যে পৌর ছাত্রলীগ নেতা আসিফের স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো (সমুদ্র কন্যা রূপ গরবীনী চট্টলার অতি আদরের দুলালী, বীর প্রসবিনী রাউজান।প্রকৃতির অকৃপণ দানে ঋদ্ধ, সংস্কৃতি ও সভ্যতার আলোকে পরিপুষ্ঠ এক, জ্ঞানের অনির্বাণ শিখায় প্রদীপ্ত আলোকময় এক মানব গোষ্ঠির বিকাশ ঘটেছে উত্তর চট্টগ্রামের প্রায় আড়াইশ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে।
‘মুক্তিযুদ্ধ, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, শিক্ষা, সংস্কৃতি, চলচ্চিত্র, সংবাদপত্র, রাজনীতিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে রাউজানের ইতিহাস সমুজ্জ্বল। মাঝখানে কিছু সময়ের জন্যে নানা কারণে কলঙ্কিত হলেও রাউজান এখন আবার দেশের অন্যতম জ্ঞানী, গুণীর স্থান হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে স্বগৌরবে মহিমান্বিত হয়েছে। একসময়ের সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে সারাদেশে পরিচিত থাকলেও বর্তমান রাউজান সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধিতে দেশের অন্যান্য জেলা উপজেলাকেও ছাড়িয়ে গেছে তা একমাত্র সম্ভব হয়েছে রাউজানের প্রানপুরুষ আধুনিক রাউজানের রুপকার জনাব এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর নিরলস পরিশ্রম ও রাজনৈতিক বিচক্ষনতায়।
২০০৯ শুরু থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত টানা দশ বছর আমাদের সরকার ক্ষমতায়, এ ১০ বছরে আওয়ামীলীগ সরকারকে দেশী বিদেশী বিভিন্ন মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার ছাড়াও অভ্যন্তরীন রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা এবং চড়াই উৎরাই পার করতে হয়। দেশের সামগ্রিক অবস্থার কথা বিবেচনা করলে আওয়ামীলীগ সরকার সফলতার শীর্ষ পর্যায়ে। দেশের রাজনৈতিক সংকটাবস্থায় সারাদেশ উত্তাল থাকলেও একমাত্র রাউজানে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়নি সবকিছু নিয়ন্ত্রনের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল শুধুমাত্র একজনই। তিনি হলেন আমার প্রানের নেতা জনাব এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। শিক্ষা, সংস্কৃতি, তথ্যপ্রযুক্তি, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ সম্পাদন করেছেন সুনিপুন হাতে।
সবচেয়ে বড় কথা হল রাউজানের সর্বস্থরের মানুষকে একজায়গায় মিলিত করতে পারা যা সরকারি দলের বড় বড় এমপি মন্ত্রীর পক্ষে সম্ভব হয়নি। নিজ দলের প্রত্যেক নেতা কর্মীকে ভালোবেসেছেন যেমনটি ভালোবাসতো হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নিজের জীবনকে ঢেলে দিয়েছেন সাধারন মানুষের তরে। রাউজানের প্রত্যেকটি মানুষকে আপন করেছেন নিজ গুণে। গর্বে বুক ভরে যায় যখন আমাদের পাশ্ববর্তী জেলা ও উপজেলার সাধারণ মানুষের মুখে শুনি প্রানের নেতা গুনগান। এক সময়ের অশান্ত ও সন্ত্রাসের জনপদ নামে চিহ্নিত রাউজানকে পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে ১৯৯৬ সালে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আপনি (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর হাতে তুলে দিয়েছেন নৌকার বৈঠা, দায়িত্ব দিয়েছেন রাউজানকে শান্তির জনপদ হিসেবে গড়ে তোলার। সেই থেকে শুরু হল একজন স্বপ্নবাজ পুরুষের পথচলা। বিগত ২২ বছরে রাউজানকে সাজিয়েছেন নিজ মহিমায় রুপকথার গল্পের মত।
ইতিমধ্যে রাউজানের খ্যাতি ও উন্নয়নের গল্প ছড়িয়ে পড়েছে দেশের আনাচে কানাচে যা বলার অপেক্ষা রাখে না। বৃহত্তর চট্টগ্রামের প্রতিটি অঞ্চলের মানুষের মুখে রাউজানের উন্নয়নের কথা বেরিয়ে আসে খুব সহজেই। রাউজান পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত গিরিছায়া রেস্টুরেন্টে যাত্রাবিরতির সময় সরকার দলীয় বিভিন্ন মন্ত্রী, আমলা ও দেশী বিদেশী কুটনৈতিকরা রাউজানের উন্নয়নের ভূয়সী প্রসংশা করেছেন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন জনাব এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর প্রতি। রাউজান এমন একটি উপজেলা যার পরিচিতি সারা বাংলাদেশে বিদ্যমান কেননা বীর চট্টগ্রামকে এগিয়ে নেওয়ার পেছনে রাউজানের সন্তানরা অনেক বেশি অবদান রেখেছে যা বলে শেষ করা যাবে না। সেই ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে এখন সময় এসেছে কথা বলার, এখন ই সময় আমাদের ঘুড়ে দাঁড়ানোর।
তাই রাউজানের সর্বস্থরের মানুষের প্রানের দাবি মন্ত্রীপরিষদে একজন এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে দেখার। আমি আমার নিজ জায়গা থেকে সরে গিয়ে একজন সাধারন নাগরিক হিসেবে বলছি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীরাই পারে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে। যিনি রাজনীতিতে দিতে এসেছেন নিতে নয়। যার ২২ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাস পর্যালোচনা করলেই সহজে বুঝে যাবে যে কেউ। স্ট্যাটাসটা লিখতে গিয়ে নিজেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ি, মনে হচ্ছে মোবাইলের স্ক্রিনে আমার নেতার চেহারাটা ভেসে উঠছে তাই অনেক কিছু লিখতে গিয়ে লিখা হয়ে উঠেনি। ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ী হওয়ার পর রাউজানের প্রত্যেকটি মানুষ আশায় বুক বেঁধেছিল এবং মানুষের মুখে মুখে ছিল প্রধানমন্ত্রী রাউজানকে উপহার দিবেন একজন মন্ত্রী। যার হাত ধরে রাউজান মাথা উঁচু করে থাকবে ততদিন, যতদিন এই বাংলায় সূর্য উদিত হবে।
আমি আমার রাজনৈতিক জীবনে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যেকটি সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছি আজও তা বিদ্যমান। কিন্তু রাউজান থেকে টানা চারবার নির্বাচিত হওয়ার পরও কি আমরা মন্ত্রীপরিষদে বসতে পারিনা? বিএনপির দূর্গ ভেঙে দিয়ে রাউজানে আওয়ামীলীগের শক্ত অবস্থান তৈরি করার পেছনে যে মানুষটি নিরলস পরিশ্রম করে গেছেন তিনি কি মন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রাখে না? রাউজানের ঘরে ঘরে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের বাণী পৌছে দিয়েছেন যিনি, নিজ গুনে ও দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন সব জায়গায় তিনিও একজন মন্ত্রীর দাবিদার। রাজনীতি ও রাজনীতির বাইরে যিনি সাধারনের মাঝে অসাধারণ সেই মানুষটিকে যথাযত মুল্যায়ন করা হোক। যিনি নিজ মুখেই বলেছেন মন্ত্রী হলে পাল্টে দেব চট্টগ্রাম। তিনিই রাউজানের মাহাথির মোহাম্মদ তথা এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। প্রশ্ন রাখলাম ?
মোহাম্মদ আসিফ
সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাউজান পৌরসভা।