আলাউদ্দিন ডেস্ক কন্ট্রিবিউটর
প্রকাশ: ২০১৯-০২-০১ ০০:৫৭:৪৮ || আপডেট: ২০১৯-০২-০১ ০০:৫৯:১৪
বীর কন্ঠ ডেস্ক :
কর্ণফুলী নদীর দুই তীরে অবৈধভাবে গড়ে উঠা স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। আগামী সোমবার থেকে এ অভিযান শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উচ্ছেদ সংক্রান্ত জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন জানান, কর্ণফুলী নদীর দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে হাইকোর্টের আদেশ রয়েছে। কিন্তু অর্থ বরাদ্দের অভাবে এতদিন উচ্ছেদ অভিযান শুরু করতে পারেনি জেলা প্রশাসন।
তিনি বলেন, ‘অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে ভূমিমন্ত্রীর আশ্বাসে আমরা উচ্ছেদ অভিযানে যাচ্ছি। সোমবার থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করা হবে।’
জাতীয় অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কর্ণফুলী নদীর মোহনাতেই অবস্থিত চট্টগ্রাম বন্দর। এ নদীর দুই পাড়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে টানেল নির্মাণের প্রকল্পও নেয়া হয়েছে।
২০১০ সালের ১৮ জুলাই হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ কর্ণফুলী নদী দখল, মাটি ভরাট ও নদীতে সব ধরনের স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দেয়। সেই সাথে আদালত স্থানীয় প্রশাসনকে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে নদীর প্রকৃত সীমানা নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দিতে বলে।
আদালতের নির্দেশের পর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর নদীর দুই তীরে সীমানা নির্ধারণের কাজ শুরু করে। নগরীর নেভাল অ্যাকাডেমি সংলগ্ন নদীর মোহনা থেকে মোহরা এলাকা পর্যন্ত অংশে ২০১৫ সালে জরিপের কাজ শেষ করে প্রশাসন। জরিপে নদীর দুই তীরে প্রায় আড়াই হাজারের বেশি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়।
প্রতিবেদনটি ২০১৫ সালের ৯ নভেম্বর উচ্চ আদালতে দাখিল করা হয়। এরপর ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ কর্ণফুলীর দুই তীরে গড়ে ওঠা স্থাপনা সরাতে ৯০ দিনের সময় বেঁধে দেয়।
সর্বশেষ ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এক কোটি ২০ লাখ টাকা অর্থ বরাদ্দ চেয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী। এর পর এখন পর্যন্ত উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়নি। সূত্র- ইউ.এন.বি নিউজ