রফিকুল আলম ফটিকছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০১৯-০২-১৮ ০০:১৪:৪০ || আপডেট: ২০১৯-০২-১৮ ০০:১৪:৪০
রফিকুল আলম : প্রেমের টানে ভালবাসা দিবসের দিন প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গিয়ে প্রেমিকার স্বজনদের রোষানলে পড়ে অমানুষিক নির্যাতনের শিকারে শেষ পর্যন্ত লাশ হয়ে বাড়ীতে ফিরেছে শিমুল মহাজন নামের এক যুবক। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করেছে। তবে পুলিশ বলেছে সে আত্নহত্যা করেছে।
এ ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়রি সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর থানাধীন দাঁতমারা ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের কার্তিকপুর গ্রামে। এ সংক্রান্তে নিহত যুবকের মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় পুলিশ ১ জনকে গ্রেফতার করেছে।
থানা ও এলাকাবাসীর সুত্রে জানা যায়, স্থানীয় জৈনক মৃত অনিল মহাজনের ছেলে শিমুল মহাজনের সাথে ওই এলাকার রনধীর দের বাড়ীর সন্তোষ কুমার দে এর কন্যা প্রিয়ংকা রানী দে এর সাথে দীর্ঘ দিন ধরে প্রেম চলে আসছিল। তারা ২ জনের মধ্যে প্রায় সময় দেখা সাক্ষাৎ হতো।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালবাসা দিবসের দিন শিমুল মহাজন তার প্রেমিকা প্রিয়ংকা সাথে দেখা করতে গেলে তাকে প্রেমিকার বাবা সন্তোষ কুমার দে ,ভাই সহ অজ্ঞাতনামা কয়েক জন আটক করে রেখে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। শেষ পর্যন্ত নির্যাতনের শিকার শিমুল মহাজন গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে মারা গেলে বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, শিমুল নিখোঁজের পর তার মা থানায় গত শনিবার বিকালে অভিযোগ করলে পুলিশের তৎপরতায় শিমুলকে সন্ধ্যায় থানায় দিয়ে যায়। পরে নির্যাতিত শিমুল আরো অসু¯’ হয়ে পড়লে থাকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করে।
ভুজপুর থানার ও,সি শেখ আবদুল্লাহ জানান,ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ জনৈক মৃত অনিল মহাজনের ছেলে শিমুল মহাজননের লাশ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স হতে উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করা হয়। ১৭ ফেব্রুয়ারি রবিবার ময়না তদন্ত শেষে শিমুলের লাশ বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে সৎকার করে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মন্তব্য করা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে থানায় শিমুলের মা ছিনু মহাজন বাদী হয়ে ০৬(০২)২০১৯ ইং মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ মামলার প্রেক্ষিতে প্রিয়াংকার বাবা সন্তোষ কুমার দে কে গ্রেফতার করেছে এবং অন্যানা আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।