আবদুল হাকিম রানা পটিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০১৯-০৩-১৬ ০০:৩৫:২০ || আপডেট: ২০১৯-০৩-১৬ ০০:৩৫:২০
আবদুল হাকিম রানা, বীর কন্ঠ : পটিয়ার কুসুমপুরা ইউনিয়নে প্রথমবারের মত স্বেচ্ছাশ্রমে আরসিসি ঢালাই সড়ক নির্মাণ শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। এ সড়ক নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন এলাকার সন্তান স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুন-উর-রশিদ। তিনি এসময় জায়গা প্রদান সহ নানাভাবে সহযোগিতা করায় এলাকাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আপনারা সহযোগিতা দেওয়ায় সরকারের পাশাপাশি একটি ব্যতিক্রমী উন্নয়ন কাজ সফল করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে চলাচল অনুপযোগী এ সড়ক সংস্কার কাজ শেষ হলে বৃতত্তর এলাকার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ নানাভাবে উপকৃত হবে।
তিনি তথ্য দিয়ে বলেন, এ সড়কের উভয় পাশ্বে লাইটিং ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ সহ বৃক্ষরোপন করার পরিকল্পনা রয়েছে। যা করা হলে এ সড়কটি শীঘ্রই দৃষ্টিন্দন সড়কে পরিণত হবে। এতে এখানে প্রতিষ্ঠিত প্রিন্সিপাল ফজল আহমদ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থীরা সহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষ উপকৃত হবে। জানা যায়, পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইলিয়াছ খাঁ সড়কটি দীর্ঘদিন যাবৎ খানা-খন্দকে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছিল। বিশেষ করে এটির পাশ ছোট হওয়ায় কোন মাঝারী ও বড় আকারের যানবাহনে এ সড়ক দিয়ে শিক্ষার্থী-এলাকাবাসীরা চলাচল করতে পারতো না। বর্তমানে এ সড়কের পাশেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে প্রিন্সিপাল ফজল আহমদ ইন্টান্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ। এটি ইংরেজী কারিকুলামে এ অঞ্চলে একটি আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এলাকায় দিন দিন এটির গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক থেকে এ সড়কটি শুরু হলেও এর পাশ সংকীর্ণ হওয়ায় স্কুলের বাস সহ অন্যান্য যানবাহন গুলোকে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছিল। ফলে এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে এ সড়কটিকে একটি স্থায়ী টেকসই সড়ক নির্মাণে লজিষ্ট্রিক সাপোর্ট নিয়ে এগিয়ে আসেন এলাকার সূর্য সন্তান প্রিন্সিপাল ফজল আহমদ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুন-উর-রশিদ।
পাশাপাশি তার সাথে এতে স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক নির্মাণ কাজে সম্পৃক্ত হয়েছেন এলাকার সুবিধাভোগী সাধারণ মানুষেরা। উদ্বোধনকালে তার সাথে ছিলেন এলাকার সমাজসেবী কাজী খোরশেদ, মো. জাকারিয়া, মিল্ক ভিটার পরিচালক নাজিম উদ্দিন হায়দার, এলাকার পুরস্কৃত সমাজকর্মী শওকত আকবর মেম্বার, আবু হেনা, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ প্রমুখ। এতে বলা হয় আগে সড়কটিতে ২/১ফুট পর পর গর্ত ছিল ও পাশ ছিল ৬/৭ ফুট। এখন এলাকার মানুষেরা নিজেরা এ সড়কের জন্য জায়গা ছেড়ে দিয়ে স্ব-উদ্যোগে এটির পাশ বর্ধিতকরণে এগিয়ে এসেছেন। ফলে এখন এটির পাশ প্রায় ১৯ ফুটে এসে দাঁড়িয়েছে। আর উভয় পাশ্বে রিটার্নিং ওয়াল নির্মাণ করার ফলে এটি টেকসই হবে। আমরা এজন্য খুবই খুশি।