রফিকুল আলম ফটিকছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০১৯-০৩-১৭ ২২:০৮:৫৩ || আপডেট: ২০১৯-০৩-১৭ ২২:০৮:৫৩
রফিকুল আলম : রাত পোহালেই কাল সোমবার(১৮ মার্চ) চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্টু ভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।উপজেলার ১শত ৩৬ টি কেন্দ্রে ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৪ শত ৮৫ জন ভোটারের ভোট গ্রহন সম্পন্ন করতে ১শত ৩৬ জন প্রিজাইডিং,১ হাজার ১৩ জন সহকারী প্রিজাইডিং ও ২ হাজার ২৬ জন পোলিং এজেন্ট নিয়োগ দিয়েছে উপজেলা নির্বাচন অফিস।
তাছাড়া অত্যাধিক ঝুঁকি পূর্ণ ও ঝুকিঁ পূর্ণ কেন্দ্র গুলোতে পর্যাপ্ত পরিমান আইন শৃঙ্খলা বাহিনী থাকবে। নির্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন,ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এতো দিন ধরে প্রার্থীদের প্রচারনায় উপজেলা উৎসবের আমেজের সৃষ্টি হয়। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দ্বি-মূখী ও ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ত্রি-মূখী প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিএনপি’র প্রার্থী না থাকায় ভোটারদের কেন্দ্রে উপস্থিতি অন্যান্য নির্বাচনের চেয়ে অর্ধেকে নেমে আসতে পারে। তবে মহিলা ভোটাররা কেন্দ্রে আসলে ভোটের চিত্র পাল্টে ব্যবধান বেড়ে যাবে। সে সাথে ভোটারের হিসাব ও পাল্টে যেতে পারে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন (নৌকা প্রতীক),স্বতন্ত্র প্রার্থী হুসাইন মুহাম্মদ আবু তৈয়ব (আনারস প্রতীক) ও জাতীয় পার্টি আবছার উদ্দিন (নাঙ্গল প্রতীক) নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফটিকছড়ি প্রেসক্লাব প্রতিষ্টাতা সভাপতি সৈয়দ জাহেদুল্লাহ কুরাইশী(তালা প্রতীক) ছালামত উল্লাহ চৌধুরী( বই প্রতীক),রতন কান্তি চৌধুরী(চশমা প্রতীক),বিশ্বজিৎ রাহা (টিউবওয়েল প্রতীক) ও ইসমাইল মজুমদার (উড়োজাহাজ) প্রতীক। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেবুন নাহার(প্রজাপতি),শারমিন আকতার নুপুর(কলস) ও রাজিয়া মাসুদ(পদœফুল প্রতীক) নিয়ে প্রতিদ্বন্ধি¦তা করছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ভোটারদের সাথে আলাপ কালে প্রতিয়মান হয় চেয়ারম্যান পদে মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন (নৌকা প্রতীক) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হুসাইন মুহাম্মদ আবু তৈয়ব (আনারস প্রতীক) তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। সে সাথে ভোটার ও সাধারণ মানুষের মনে নানা প্রশ্নে সৃষ্টি হচেছ নির্বাচন সুষ্টু হবে কিনা এ নিয়ে।
তাছাড়া চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থীর মধ্যে একজন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হলে ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের আওয়ামীলীগের একাংশের সমর্থিত,তাঁর যথেষ্ট ইমেজ রয়েছে। ফলে নির্বাচনের দিন যে কোন সময় অনাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে। তাই প্রশাসনকে কঠোর ভাবে এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা প্রয়োজন সাধারণ ভোটাররা মতব্যক্ত করেন। অপরদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার মধ্যে উত্তর অঞ্চল থেকে ২ জন প্রার্থী ও উপজেলা সদরের পৌর এলাকা হতে ২ জন প্রার্থী এবং দক্ষিন অঞ্চল থেকে মাত্র একজন প্রার্থী রয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন শ্রেনীর পেশার মানুষের সাথে আলাপ কালে তারা মন্তব্য করেন, উত্তর অঞ্চল থেকে ২ জন ও পৌর সদর হতে ২ জন প্রার্থী । কিন্তু দক্ষিন অঞ্চলের ৮ টি ইউনিয়নের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান পদে শুধু মাত্র ১ জন প্রার্থী। তাই দক্ষিন অঞ্চলের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর (তালা প্রতীক) জয়লাভের সম্ভাবনা খুবই বেশী বলে মনে করেন।
অন্য দিকে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ত্রি-মূখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে সাধারণ ভোটাররা মত ব্যক্ত করেন। নির্বাচন সংক্রান্তে ফটিকছড়ি থানার ওসি মুহাম্মদ বাবুল আকতারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, সুষ্টু ও সুন্দর ভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রতিটি কেন্দ্রে যত গুলো ফোর্স প্রয়োজন তা দেয়া হবে। কেহ যদি কেন্দ্র দখল করার চেষ্টা করে ; তাদের রেহাই নেই। নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে ৫ থেকে ১০ জন পুলিশ ও ১০ জন করে আনসার থাকবে। তাছাড়া প্রতি ইউনিয়নে একটি করে ম্বোাইল টিম দায়িত্ব পালন করবে। পুরো উপজেলায় ৫ প্লাটুন বিজিবি ও ৮ টি র্যাবের টিম কাজ করবে। বিশেষ ফোর্স সহ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট থাকবে আট জন ও জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট থাকবে ১ জন।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন অফিসর মো: হুমায়ুন কবির বলেন, নির্বাচন সুষ্টু ও সুন্দর ভাবে সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। উপজেলার ২ টি পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়নে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৯১ হাজার ৬ শত ১০ জন ও মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৮ শত ৭৫ জন।