চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

প্রদীপ শীল রাউজান প্রতিনিধি

রাউজানে দুই ঘরে ডাকাতি, আহত-৩

প্রকাশ: ২০১৯-০৩-২৭ ২৩:৫৭:০৫ || আপডেট: ২০১৯-০৩-২৭ ২৩:৫৭:০৫

প্রদীপ শীল, রাউজান: চট্টগ্রামের রাউজানে দুই ঘরে ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ডাকাতদলের সদস্যদের আঘাতে আহত হয়েছেন ৩ জন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের ঊনসত্তরপাড়া এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, বাকের মিয়ার জামাাতা মো. শহিদুল্লাহ প্রকাশ মুন্সি মিয়া (৪০), তাঁর (শহীদুল্লাহ) মা মমতাজ বেগম (৬০), স্ত্রী জান্নতুল ফেরদৌস জয়নাব (৩০)। জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে একটি সঙ্গবদ্ধ ডাকাতদল প্রথমে বশির আহম্মদ পাড়ার আহম্মদ ছাপার পুত্র পাইপ ফিটার মিস্ত্রি মো. নঈম উদ্দিনের ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে ডাকাত দলের সদস্যরা।

মো. নঈম উদ্দিন বলেন, দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে আমাদের হাত-পা বেধে আলমিরাতে রাখা ১০ হাজার টাকা ও ৩টি মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়ায় আশপাশে কাউকে ফোন করতে পারিনি। পরে পাশের বাড়ির লোকজনের হৈ-চৈ শুনতে পেয়ে সেদিকে গেলে জানতে পারি বাকেরের ঘরেও ডাকাতদল হানা দেয়। বাকের মিয়ার জামাতা মো. শহিদুল্লাহ প্রকাশ মুন্সি মিয়া (৪০) বলেন, আমার শ্বশুর বাড়ির উঠানে ডাকাত দলের ২০/২৫জন সদস্য অবস্থান নিয়ে ঘরে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। আমার শ্যালক ইব্রাহিম টের পেয়ে আমাকে ফোন করে। টর্চলাইট নিয়ে আমি, আমার মা মমতাজ (৬০) ও আমার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস জয়নাবসহ আমরা শ্বশুরের ঘরের দিকে যাওয়ার সময় ডাকাতদলের সদস্যরা আমার মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে আটকে ফেলে।

পরে একজন এলোপাথারি কুপাতে থাকে, টর্চ লইটে দুটি ও আমার হাতে দুটি কুপ পড়ে। এসময় আমার মা ও স্ত্রীকেও পিটাচ্ছিল ডাকাত দলের সদস্যরা। পরে আমি পালিয়ে গেলে রক্ষা পায়। পরে ডাকাতদলের সদস্যরা দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করলে প্রতিহত করার চেষ্টা করে বাকেরের পুত্র মো. ইব্রাহিম (২৫)। তাকেও কুপ দেয়ার চেষ্টা করলে সে ঘর পাহাড়ের দিকে পালিয়ে গেলে একজোড়া কানের দোল, চেইন ও নাকফুল ছিনিয়ে নেয়। ইব্রাহিম পাহাড়ে উঠে এলাকার সবাইকে ফোন দিলে চারদিক থেকে লোকজন বের হওয়ার পর ডাকাতদলের সদস্যরা পালিয়ে যায়। ডাকাতদলের সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ার পর স্থানীয়রা আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে রাত ৩টার দিকে চুয়েট পুলিশ ক্যাম্প ও নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রোকন উদ্দিন। এ বিষয়ে রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেপায়েত উল্লাহ বলেন, রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এখনো পর্যন্ত (বিকেল ৫টা) থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, এটি শহিদুল্লাহর সাথে তার শ্বাশুর বাড়ির লোকজনের পারিবারিক সমস্য ছিল। এটা ডাকাতির ঘটনা নয়, পারিবারিক সমস্যা নিয়ে সৃষ্ট।

একই রাতে পাইপ ফিটার মিস্ত্রী নঈম উদ্দিনের ঘর ডাকাতির ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত কেউ থানায় আসেনি, অভিযোগ দেয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *