আবদুল হাকিম রানা পটিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০১৯-০৪-০৩ ২৩:২৫:৩৫ || আপডেট: ২০১৯-০৪-০৩ ২৩:২৫:৩৫
আবদুল হাকিম রানা, : পটিয়ায় স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ছবুরের নামে পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে। পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড-র শেয়ান পাড়া গ্রামে একাত্তরের শহীদ ছবুর ফেইসকবুক গ্রুপ ও টইটম্বুর এং ইতিহাসের খসড়া এবং পশ্চিম পটিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে এ পাঠাগার উদ্বোধন করা হয়।
ইসকুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব সিরাজুল মোস্তাফার সভাপতিত্বে এবং একাত্তরে শহীদ ছবুর ফেইসবুক গ্রুপের নির্বাহী রশীদ এনামের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানের উদ্বোধক-ও প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম চারুকলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ দেশ বরেণ্য চিত্র শিল্পী-সবিহ্-উল আলম, প্রধান অতিথি ছিলেন, পটিয়া উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন পটিয়া পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশীদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুমন গাঙ্গুলী। ইতিহাসের খসড়ার সম্পাদক মুহাম্মদ শামসুল হক, দক্ষিন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার চৌধুরী মাহাবুবুর রহমান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মোতাহের বিল্লাহ, সমবায় কর্মকর্তা আবু মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ পিপলু, স্কুুলের প্রধান শিক্ষক শাহিনা ইয়াছমিন, এবং ৪নং ওয়ার্ড-ও কাউন্সিলর গোফরান রানা, প্রকোশলী ও পরিবেশবিদ জাররাফ আহমেদ। ইসকুল পরিচালনা কমিটির সদস্য, গাজী লোকমান, মোহাম্মদ শাহাজান, মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন প্রমুখ। উক্ত অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ও প্রধান আলোচক প্রফেসর সবিহ্ উল- আলম বলেন, আজকের শিশুরা আগামীর কান্ডারী। তাদেরকে এ প্লাস পাওয়ার জন্য অস্থির করে না তোলে আনন্দের মাধ্যেমে পাঠদান ও গ্রহণের সুযোগ করে দিতে হবে। তিনি আদর্শ নাগরিক হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদেরকে বলেন, পাঠাগার হচ্ছে জ্ঞানের ভান্ডার। আর বই জ্ঞানের জানালা খুলে দেয়। তাই প্রকৃত জ্ঞান আহরণের জন্য বই পড়ার কোন বিকল্প নেই। তিনি প্রতিটি পাড়া মহল্লায় পাঠাগার গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে বলেন, প্রকৃত শিক্ষা অর্জনের জন্য বই পড়তে হবে। প্রধান অতিথি বলেন, মা মাটি ও মাতৃভূমি এবং একাত্তরের চেতনাকে হৃদয়ে লালন করে দেশের জন্য কাজ করে যেতে হবে। সভায় একাত্তরের শহীদ ছবুর ফেইসবুক গ্রুপের পক্ষ থেকে মু্িক্তযোদ্ধা ভাস্কর্য এবং শহীদ ছবুর স্মৃতি স্তম্ভ স্থাপন করার জোড় দাবী জানানো হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে শহীদ ছবুর পরিবারকে এবং মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী মাহাবুবুর রহমানকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। সভার শেষে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।