শফকত হোসাইন চাটগামী বাঁশখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০১৯-০৪-০৪ ২৩:০০:২৫ || আপডেট: ২০১৯-০৪-০৪ ২৩:০০:২৫
শফকত হোসাইন চাটগামী, বাঁশখালী : বাঁশখালীর গন্ডামারায় ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল কয়লা বিদ্যুৎ বিরোধী আন্দোলনে পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ৪ গ্রামবাসীকে দোয়া মুনাজাতের মাধ্যমে স্মরণ করেছে গন্ডামারাবাসী। নিহত মরতুজ আলী, জাকের আহমদ, আনোয়ারুল ইসলাম আঙ্গুর ও মোঃ জাকের স্মরণে আজ (৪ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার বিকেলে গন্ডামারা রহমানিয়া সিনিয়র মাদরাসা মিলনায়তনে এক খতমে বোখারী ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তৎকালীন কয়লা বিরোধী আন্দোলনের নেতা লেয়াকত আলী।
গন্ডামারা রহমানিয়া মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সহ সভাপতি ও নিহতদের পরিবারের সদস্য মৌলভী বশিরের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাঁশখালী প্রেস কাবের যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক শফকত হোসাইন চাটগামী। মোনাজাত পরিচালনা করেন, চট্টগ্রাম জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়ার মুহাদ্দিস মাওলানা মুফতি আবদুল মাজেদ। দোয়া মাহফিল ও স্মরণ সভায় গন্ডামারা ইউপি চেয়ারম্যান লেয়াকত আলী বলেন, পরিবেশ রক্ষার আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের হাতে আমার এলাকার ৪ জন নিরীহ গ্রামবাসী প্রাণ হারিয়েছে। তাদের প্রাণের বিনিময়ে অন্তত আমরা কিছু দাবী দাওয়া আদায় করতে সক্ষম হয়েছি। গন্ডামারার যে জমি ৬-৭ লাখ টাকায় বিক্রি হতো তা এখন কানি প্রতি ৩০ লাখ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গন্ডামারায় ৫০টির উপরে গভীর নলকূপ স্থাপনের মাধ্যমে কয়লা প্রকল্পে পানি সরবরাহের যে সিদ্ধান্ত ছিল সেটিও বাতিল করা হয়েছে।
বর্তমানে বঙ্গোপসাগর থেকে পানি সংগ্রহ করে ওই পানি শোধনের মাধ্যমে ব্যবহার করা হবে। লেয়াকত আলী আরো বলেন, তাদের ৪ শহীদের জীবনের বিনিময়ে গন্ডামারা তথা বাঁশখালীর মানুষ পরিবেশ রক্ষা ও নিরাপদ জীবনের একটি নিশ্চয়তা পেয়েছে। তিনি তাদের রুহের মাগফেরাত কামনার পাশাপাশি প্রতিবছর এই দিনটিতে তাদের স্মরণে দোয়া ও বোখারী খতমের আয়োজনের ঘোষণা দেন। এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ইউপি সদস্য হাফেজ শহিদুল্লাহ, নিহতদের বড় ভাই বদি আহমদ, মৌলভী হারুন, মাওলানা আবদুস সত্তার নুরী, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা আবু তাহের তৈয়বী, মাওলানা আতাউর রহমান, মাওলানা রেজাউল করিম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বাঁশখালীর গন্ডামারায় কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণকে কেন্দ্র করে গন্ডামারার বর্তমান চেয়ারম্যান লেয়াকত আলীর নেতৃত্বে বসত ভিটা ও গোরস্থান রক্ষা কমিটির ব্যানারে কয়লা বিদ্যুৎ বিরোধী আন্দোলন চলাকালে ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের গুলিতে ৪ গ্রামবাসী নিহত হয়েছিল।