প্রকাশ: ২০১৯-০৪-১৭ ০০:০২:৩৯ || আপডেট: ২০১৯-০৪-১৭ ০০:০২:৩৯
স্টাফ রিপোর্টার : বদলী হলেও ঘুরে-ফিরে একই জায়গায় চকরিয়া পৌরসভার সচিব মাস-উদ মোরশেদ। তার বিরুদ্ধে একেক সময় একেক রকমের কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠলেও রহস্যজনক কারণে বহাল তবিয়তে থাকেন তিনি। আবারও নানা অনিয়ম দূর্নীতি ও স্বে”ছাচারিতার অভিযোগ এনে গত ৭এপ্রিল ওই সচিবের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুজিবুল হক। দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে একই জায়গায় কর্মরত থাকা এই আলোচিত সচিব মাস-উদ মোরশেদের কারণে কক্সবাজার জেলার প্রথম শ্রেণির চকরিয়া পৌরসভায় বিরাজ করছে অচলাব¯’া। কাউন্সিলর মুজিবুল হক বলেন, ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল থেকে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে চকরিয়া পৌরসভায় কর্মরত সচিব মাস-উদ মোরশেদ। কথিত আছে পৌর পিতা যেনিই হন তিনিই জিম্মি হয়ে পড়েন তাঁর কাছে। মেয়র যেখানে জিম্মি সেখানে কাউন্সিলরদেরও করার কিছু থাকে না।
মুজিব বলেন-অবৈধভাবে টেন্ডার বাণিজ্য করার পাশাপাশি পৌরসভার কিচেন মার্কেটে বাণিজ্য চালান, শালিস বাণিজ্যও রয়েছে সচিবের হাতে। এছাড়া পৌরশহরের আট নম্বর ওয়ার্ডে উন্নয়নের নামে বিশাল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সচিব মাস-উদ মোরশেদের বিরুদ্ধে। তার অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে চাইলে উল্টো হুমকি দেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। অবশেষে তাঁর এসবে অতিষ্ঠ এলাকাবাসীর চাপের মুখে ৭এপ্রিল সচিবের কক্ষে তালা ঝুলাতে বাধ্য হন কাউন্সিলর মুজিবুল হক। দীর্ঘ ১৩ বছরে ধরে সরকারি নিয়ম বহির্ভূতভাবে স্বপদে বহাল থাকা নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেন তিনি। পৌরসভার সচিবের চাকুরি করে মাসউদ মোরশেদ মালিক বনেছেন অঢেল সহায় সম্পদের। চাকরি করার সুবাদে এ পৌরসভায় নিকট আত্মীয়দেরও কৌশলে চাকরি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন কাউন্সিলর মুজিবুল হক। তার কারণে চকরিয়া পৌরসভার অচলাব¯’া সৃষ্টি হয়েছে। ¯’বির হয়ে পড়েছে চকরিয়া পৌরসভার উন্নয়ন কার্যক্রম। দ্রুত সময়ে এ দূর্নীতিবাজ সচিব মাসউদ মোরশেদকে অন্যত্রে বদলি ও শাস্তির দাবী জানান কাউন্সিলর মুজিবুল হক। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ওই সচিব পৌরসভায় যোগদানের পর থেকে পৌরসভার হাট-বাজার, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও উন্নয়ন কাজের ট্রেন্ডার গুলো যে সব পত্রিকা বাজারে আসে না, পত্রিকা অফিস থেকে বিজ্ঞাপন দাতার অফিস পর্যন্ত সীমাবদ্ধ সেইসব পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অন্তরালে টেন্ডার বানিজ্যে মেতে উঠে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পৌরসভার একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারি জানান, পৌর সচিবের অনিয়ম ও দুর্নীতির ভার কেউ নেবে না। সবাই রেগে আছে, ক্ষোভে আছে। কিš‘ প্রকাশ করতে পারছেন না। বর্তমানে পৌরসভার অচলাব¯’া বিরাজ করছে বলেও জানান তারা। ২০০৮ সালে এক নারী কাউন্সিলরকে জিম্মি করে রেজুলেশন খাতায় স্বাক্ষর আদায় করার চেষ্ঠা করেন সচিব মাসউদ মোরশেদ। এ খবর পেয়ে তৎকালীন প্যানেল মেয়র শহীদুল ইসলাম ফোরকানের নেতৃত্বে কাউন্সিলরার ঘটনা¯’লে গিয়ে ওই নারী কাউন্সিলরকে উদ্ধার করে। এ সময় সচিব মাসউদ মোরশেদকে উপ¯ি’ত কাউন্সিলররা লাঞ্ছিতও করেন। চকরিয়া পৌর সচিব মাসউদ মোরশেদ সাংবাদিকদের বলেন, কাউন্সিলর মুজিবুল হক অভিযোগ করলেও আদৌ সত্য নয়। তিনি বলেন-অন্যান্য ওয়ার্ডের তুলনায় তার ওয়ার্ড আট নম্বরে উন্নয়ন কর্মকান্ড বেশি হয়েছে। কিচেন মার্কেটে একটি দোকান বরাদ্দ নিয়ে তার সাথে ভুল বোঝা বুঝি হয়েছে আর কিছু নয়। ঢাকা থেকে মেয়র মহোদয় আসলে সমাধান করা হবে বলে তিনি জানান।