আবদুল হাকিম রানা পটিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০১৯-০৪-২০ ০০:২০:০৬ || আপডেট: ২০১৯-০৪-২০ ০০:২০:০৬
আবদুল হাকিম রানা, বীর কন্ঠ : পটিয়ায় দুটি বাল্য বিবাহ বন্ধ করে অভিভাবক ও বরের নিকট থেকে মুচলেকা নিয়ে প্রাপ্ত বয়স অর্জিত হলেই কেবল বিয়ে হবে এই প্রতিশ্রুতি তিতে দু’পক্ষকে ছেড়ে দিয়ে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সহকারী কমিশনার ভূমি সাব্বির রহমান সানি। তিনি পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে গত বুধবার এ দুটি বিয়ে বন্ধ করেন। জানা যায়, প্রথম বাল্য বিবাহটি ছিল কচুয়াই এলাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে। সেখানে ৮ম শ্রেণির ছাত্রী শ্রাবন্তী দাশকে তার পিতা প্রদীপ দাশ নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাল্য বিবাহ দিচ্ছিলেন। এতে প্রশাসনের পদক্ষেপে বর সঞ্জয় মল্লিক মুচলেকা দিয়ে কনের বয়স ১৮ বছর না হওয়া অবধি বিয়ে করবেনা বলে প্রতিশ্রুতি দিলে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়। দ্বিতীয় বাল্য বিবাহটি ছিল সদরের আরেকটি কমিউনিটি সেন্টারে। বর বিষ্ণুপদ নাথ চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া কণিকা দেবী নামে এক মেয়েকে বিয়ে করতে আসলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদের আটক করেন। পরে কনের বাবা বাবুল নাথ মুচলেকা ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে ক্ষমা চাইলে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়। বর ও কণে পক্ষের লিখিত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কনের বয়স ১৮ না হওয়া অবধি তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেনা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাব্বির রহমান সানি জানিয়েছেন, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে প্রশাসনের জিরো টলারেন্স নীতি অব্যহত থাকবে। পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান গতকাল চট্টগ্রাম মঞ্চকে বলেন, এতো সচেতনতা ও প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপের পরও চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া অল্প বয়সী শিশুর বিয়ে অনুষ্ঠানে সত্যিই আমি বিষ্মিত। তিনি এ বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে প্রশাসনের পাশাপাশি সচেতন জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।