চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

আলাউদ্দিন ডেস্ক কন্ট্রিবিউটর

নুসরাত হত্যা : এসপির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে

প্রকাশ: ২০১৯-০৫-১২ ২২:৪৪:১৫ || আপডেট: ২০১৯-০৫-১২ ২২:৪৪:১৫

ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ঘটনায় গাফিলতি ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জাহাঙ্গীর আলম সরকারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে তাকে একটি নন অপারেশনাল ইউনিটে সংযুক্ত করা হবে। তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন আছে।

পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা শনিবার (১১ মে)  বলেন, ব্যবস্থা নিতে ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এছাড়া তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে অভিযুক্ত এসআই (নিরস্ত্র) মো. ইউসুফকে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয় এবং এসআই (নিরস্ত্র) মো. ইকবাল আহাম্মদকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় সংযুক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও নেয়া হচ্ছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।

তিনি বলেন, সাময়িক বরখাস্ত করে তাদের দূরবর্তী বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত করা হয়েছে। সংযুক্তি কোনো বদলি নয়। এটি শাস্তি প্রক্রিয়ার একটি অংশ। সংযুক্তিকালে তাদের কোনো দায়িত্ব প্রদান করা হয় না।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ফেনীর পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে তাকেও একটি ইউনিটে সংযুক্ত করা হবে। তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি বর্তমানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন।

 

এর আগে নুসরাত হত্যার জেরে ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে বৃহস্পতিবার (৯ মে) সোনাগাজী থানা থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। শুক্রবার এআইজি সোহেল রানা জানিয়েছিলেন, মোয়াজ্জেম হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করে রংপুরে ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। মোয়াজ্জেম হোসেন আপাতত বেতন-ভাতা ও পদ অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা পাবেন না, শুধু নিয়ম অনুযায়ী খোরাকি ভাতা পাবেন।

 

প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল (শনিবার) সকালে নুসরাত জাহান রাফি আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান। সেসময় মাদ্রাসার এক ছাত্রী তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করছে- এমন সংবাদ দিলে তিনি ওই বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলায় যান। সেখানে মুখোশ পরা চার-পাঁচজন তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ দৌলার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে দায়ের করা মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়। রাফি অস্বীকৃতি জানালে তারা তার গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।

 

গত ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় নুসরাত। ওই ঘটনায় রাফির মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *