জাহেদুল হক আনোয়ারা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০১৯-০৫-২৪ ০২:৩৭:২০ || আপডেট: ২০১৯-০৫-২৪ ০২:৩৭:২০
আনোয়ারা প্রতিনিধি :
আনোয়ারায় ১৯ দিনের মধ্যে নারী-শিশুসহ ৫ জন নিখোঁজ হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গত ১ থেকে ১৯ মে বিভিন্ন সময়ে তারা নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় আনোয়ারা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে তাদের পরিবার।
পুলিশ ও নিখোঁজদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,গত ১ মে উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের ননা মিয়ার ছেলে কাইয়ুম উদ্দিন তাছিন (১২) ঘর থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়।এর ১৮ দিন পর নগরীর নিউ মার্কেট এলাকার একটি গ্যারেজ থেকে ছেলেটিকে উদ্ধার করা হয়। তাছিনের মা জেসমিন আক্তার বলেন,অপরিচিত একজন লোক রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে ছেলেকে শহরের একটি গ্যারেজে দিয়েছিল। খবর পেয়ে সেখান থেকে ছেলেকে উদ্ধার করা হয়।
একই দিনে উপজেলার বটতলী আশ্রয়ণ প্রকল্পের (গুচ্ছগ্রাম) বাসিন্দা সুনিল রবি দাস (৬১) বাজারে যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে আর ঘরে ফিরেনি। সুনিলের বড় ছেলে সুজন রবি দাস জানান,তার বাবা দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। বাবা পরিচিত কয়েকজনকে বলেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাবেন। কিন্তু সেখানেও খোঁজ-খবর নিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।
গত ১৮ মে উপজেলার বরুমচড়া গ্রামের মো.নুরুজ্জমার ছেলে মোহাম্মদ আরাফাত (১৪) ঘর থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়।এখনো পর্যন্ত ছেলেটি বাড়ি না ফেরায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় আছেন তার মা-বাবা।
গত ১৯ মে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার আলুরাণী বাজারের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে মেহেদী হাসান (১৫) আনোয়ারায় দিনমজুরের কাজ করতে এসে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়। তার ভাই সাইম সাগর বলেন, কিছু টাকা নিয়ে বাড়ি যাওয়ার জন্য চাতরী চৌমুহনী থেকে গাড়িতে উঠে হাসান। পরে খবর নিয়ে জানা যায় সে বাড়িতে যায়নি। এ ঘটনায় আনোয়ারার সর্বত্র মাইকিংসহ থানায় জিডি করা হয়েছে।
এছাড়া গত ১৯ মে আনোয়ারা উপজেলার গুয়াপঞ্চক গ্রামের মোহাম্মদ আরিফের স্ত্রী সামশুন নাহার (২৩) স্বামীর ঘর থেকে পালিয়ে যায়। পরে তার পিত্রালয় থেকে সামশুন নাহারকে উদ্ধার করা হয়। মতবিরোধ নিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা সাজাতে সামশুন নাহারকে তার বাবা ঘরে লুকিয়ে রেখেছে বলে অভিযোগ স্বামী মোহাম্মদ আরিফের।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,নিখোঁজদের উদ্ধারে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। তাদের আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন থানায় এ ব্যাপারে বার্তা পাঠানো হয়েছে।