আলাউদ্দিন ডেস্ক কন্ট্রিবিউটর
প্রকাশ: ২০১৯-০৫-২৫ ১৫:২২:০৬ || আপডেট: ২০১৯-০৫-২৫ ১৫:২২:০৬
বীর কন্ঠ ডেস্ক :
শনিবার (২৫ মে) ভোর থেকে চট্টগ্রামের হালদা নদীতে রুইজাতীয় (রুই, মৃগেল, কাতল, কালবাউশ) মাছ নমুনা ডিম ছেড়েছে।
হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলা সংলগ্ন নদীর বিস্তীর্ণ অংশের বিভিন্ন স্পটে নমুনা ডিম দেখা গেছে। নৌকা, জাল ও সরঞ্জাম নিয়ে নদীর বিভিন্ন অংশে অবস্থান নিয়েছে ডিম সংগ্রহকারীরা।তারা জানান, ডিম ছাড়ার আগে মা-মাছের পূর্বপ্রস্তুতি হল নমুনা ডিম ছাড়া।
সরেজমিন হাটহাজারী ও রাউজান অংশের হালদা নদীর আজিমের ঘাট, অঙ্কুরীঘোনা, মদুনাঘাট, বাড়িয়াঘোনা, মাছুয়াঘোনা হাট, সিপাহীর ঘাট, গড়দুয়ারা এলাকায় ডিম সংগ্রহকারী মৎস্যজীবীদের নমুনা ডিম সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। এ সময় কেউ কেউ ১৫-২০টি করে নিষিক্ত নমুনা ডিম সংগ্রহ করেছেন। ডিম সংগ্রহকারীরা জানান, দুয়েক দিনের মধ্যে মাছ পুরোপুরি ডিম ছাড়বে বলে মনে হচ্ছে।
সাধারণত বৈশাখ থেকে জ্যৈষ্ঠ পর্যন্ত অমাবস্যা ও পূর্ণিমা এবং মেঘের গর্জন ও প্রবল বর্ষণে পাহাড়ি ঢলের সৃষ্টি হয়। এ সময় নদীতে ডিম ছাড়ে মাছ।
হাটহাজারীর উত্তর মাদ্রাসার ডিম সংগ্রহকারী মো. জামশেদ জানান, শনিবার (২৫ মে) ভোর থেকে নমুনা ডিম পাওয়া গেছে। হালদায় এখন জোয়ার। জোয়ারের পানি বেশি হলে মাছের ডিম ছাড়ার সম্ভাবনা থাকে। আমরা হালদা নদীতে জাল পেতে বসে আছি।
এছাড়া একই উপজেলার গড়দুয়ারা এলাকার ডিম সংগ্রহকারী কামাল উদ্দিন সওদাগর বলেন, দু-চারটি নমুনা ডিম পেয়েছি আমরা। ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে জোয়ারের উচ্চতা ও পানি বেশি। ডিম সংগ্রহের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, ডিম সংগ্রহকারীরা জানিয়েছে, তারা মাছের আনাগোনা দেখছেন এবং অল্প নমুনা ডিম সংগ্রহ করতে পেরেছেন। নমুনা ডিম পাওয়ায় মা মাছের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কেউ যাতে মা মাছ শিকার করতে না পারে, সেদিকে কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছে। ডিম থেকে রেণু ও পোনা তৈরির জন্য হ্যাচারিগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বিশ্বের একমাত্র জোয়ার-ভাটার নদী হালদা। যেখান থেকে রুইজাতীয় মাছের সরাসরি নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করা হয়। হাটহাজারী-রাউজান-ফটিকছড়ি উপজেলা সীমানা দিয়ে বয়ে যাওয়া হালদা নদীতে প্রতিবছর বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠে ডিম ছাড়ে মাছ। হ্যাচারি পোনার চেয়ে হালদার পোনা দ্রুত বর্ধনশীল বলে এ পোনার কদর সারা দেশে। ডিম সংগ্রহকারীরা স্থানীয়ভাবে মাটির কুয়া তৈরি করে অপেক্ষায় থাকে মাছ কখন ডিম ছাড়বে সে আশায়। নদী থেকে ডিম সংগ্রহ করে তা থেকে রেণু ফুটিয়ে বিক্রি করে তারা।