চট্টগ্রাম, , রোববার, ১৯ মে ২০২৪

জাহেদুল হক আনোয়ারা প্রতিনিধি

আনোয়ারায় জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা : এবার ভারতীয় পোশাকের আধিক্য কম

প্রকাশ: ২০১৯-০৫-২৬ ০০:৪৭:০৩ || আপডেট: ২০১৯-০৫-২৬ ০০:৪৭:০৩

জাহেদুল হক,আনোয়ারা :
ছুটির দিন হওয়ায় গত শুক্রবার ঈদ কেনাকাটার বাজারে ছিল প্রচন্ড ভিড়। সকাল থেকে রাত অবধি আনোয়ারা উপজেলার বিভিন্ন বিপণি কেন্দ্রে চলে বিকিকিনি। রোজার মাঝামাঝিতে এসে এই দিনটি ছিল সবচেয়ে জমজমাট। ভিড়ের কারণে ক্রেতার সঙ্গে বেশিক্ষণ কথা বলারও সুযোগ পাচ্ছেন না বিক্রেতারা।
ঈদ উপলক্ষে আনোয়ারার বাজারে ভারতীয় পোশাকের আধিক্য নেই বললে চলে। এবার ভারতীয় নায়িকা ও সিরিয়ালের নামে তেমন কোনো পোশাক আসেনি।পাখি ড্রেস,ফ্লোরটার্চ,ঝিলিক,বাহুবলির মতো পোশাকের বিপরীতে বাজার দখল করেছে ঢাকাই পোশাক। আর শাড়ির বাজারে দেশি শাড়ি বিক্রি হচ্ছে। সব পোশাকের দাম নাগালের মধ্যে রয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।
জানাযায়, এরই মধ্যে অনেকে ঈদের কেনাকাটা শেষও করে ফেলেছেন। তবে যারা এখনো করেননি তারা এ সপ্তাহের মধ্যেই কেনাকাটা শেষ করবেন। সব মিলিয়ে গতকাল শনিবারও ঈদের বাজারে ভিড়ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। আর বেচা-বিক্রি জমে ঊঠায় বিক্রেতারাও ছিলেন বেশ খুশি।
উপজেলার চাতরী চৌমুহনী বাজারের  ওয়ান মাবিয়া সিটি, আমিন শপিং কমপ্লেক্স, মা সুপার মার্কেট,বটতলী রুস্তম হাটের হাজী ইমাম শপিং সেন্টার, তালেব ফকির মার্কেট, হাজী আমির মার্কেট, হাফেজ ইউসুফ মার্কেট, এয়াকুব মিয়া মার্কেট, জুঁইদন্ডী চৌমুহনীর মুনিরুল মোস্তফা মার্কেট, বন্দর কমিউনিটি সেন্টারের ইত্যাদী শপিং সেন্টার, মা সুরমা মার্কেট, মান্নান মার্কেট,উপজেলা সদরের দিদার মার্কেট,গণি মার্কেট ও জি বাংলা শপিং মলে সব বয়সী ক্রেতার উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়েছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন হাটবাজারের কাপড়ের দোকান ও ফুটপাতেও ক্রেতার উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। বিক্রেতারা জানান, ঈদকে ঘিরে ইতি মধ্যেই নতুন ডিজাইনের সব ধরনের পোশাক তারা নিয়ে এসেছেন।
আজমখান নামের এক শাড়ি দোকানি জানান, ঈদে এবার কাতান শাড়ির আধিক্য বেশি। শাড়িটি দেড় হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টিস্যু সিল্ক নামে ভারত থেকে একটি শাড়ি এসেছে। এটি দেড় হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মুসলিন জামদানি ও টাঙ্গাইলের সিল্ক বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪ থেকে ৬ হাজার টাকায়। তবে এবার সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে সুতি শাড়ি। এগুলো দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
বিক্রয় কর্মীআহমদ রেজা বলেন , দোকানে ছোট মেয়েদের সারারা, পার্টি ফ্রক, স্কার্ট, ডিভাইডার ও জিপসি ১ হাজার ৮০০ থেকে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ছেলেদের জিন্সের প্যান্ট,শার্ট ও টি-শার্ট বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ১২০০ টাকায়। তরুণদের জন্য নতুন কিছু গ্যাবাডিং প্যান্ট ও শার্টও বাজারে এসেছে। এগুলো সুলভ মূল্যে বিক্রি হচ্ছে বলেই জানান তিনি।
চাতরী চৌমুহনীর ওয়ান মাবিয়া সিটি সেন্টারের জুতার দোকান গুলোতে গতকাল বিভিন্ন বয়সী ক্রেতার সমাগম দেখা যায়। মাসুদুর রহমান নামে এক ক্রেতা তার ১০ বছর বয়সী কন্যা নিশাতের জন্য জুতা কিনতে এসেছিলেন। তিনি বলেন, ঈদে পাঞ্জাবির সঙ্গে পরার জন্য এক জোড়া স্যান্ডেল পছন্দ করেছি। আর মেয়ের জন্য তার পছন্দের জরিওয়ালা জুতা কিনে নিয়েছি।
অপরদিকে, বটতলী রুস্তম হাট ও চাতরী চৌমুহনী বাজারের ফুটপাতে চলছে হরদম বেচাকেনা। ফুটপাত বিক্রেতারা জানান, বৃহস্পতি ও শুক্রবার থেকে মূলত ঈদের বেচাকেনা শুরু হয়েছে। বেচাকেনা মোটামুটি ভালো ক্রেতাও বেশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *