চট্টগ্রাম, , রোববার, ১৯ মে ২০২৪

কৃষকদের উপর গুলি চালানো বিএনপির কৃষি নিয়ে কথা বলার অধিকার নেই : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ২০১৯-০৫-২৬ ০১:০৫:২৭ || আপডেট: ২০১৯-০৫-২৬ ০১:০৫:২৭

 আব্বাস হোসাইন আফতাব, রাঙ্গুনিয়া : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন খাদ্য ঘাটতি র দেশ ছিল বাংলাদেশ। এখন খাদ্যে উদ্বৃত্ত¡ অর্জন করেছে। তাদের সময়ে কৃষকরা সারের দাবীতে আন্দোলন করলে গুলি করে ১৮ জন কৃষককে হত্যা করেছিল। যারা কৃষকদের গুলি করে মারে, সার বীজ দিতে পারে না, কৃষকদের লুটপাঠ করে তাদের কৃষি এবং কৃষকদের নিয়ে কথা বলার অধিকার নেই। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার পর ১৯৯৯ সালে খাদ্য ঘাটতি থেকে উদ্ধৃত্তে¡র দেশে পরিণত করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তিতে বিএনপি আবারও ক্ষমতায় এসে তাদের লুটপাঠের কারণে দেশে আবারও খাদ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। বিএনপির অর্থ মন্ত্রী তখন বলেছিলেন, বাংলাদেশের মানুষ তিনবেলা ভাত খাওয়ার কারণে দেশে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়। তিনি সেসময় ভাতের পরিবর্তে সবাইকে আলু খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। আজ শুক্রবার (২৪ মে) চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। উপজেলা সদরের নুরজাহান কমিউনিটি সেন্টারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্ব করেন।

উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সামশুল আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক স্বজন কুমার তালুকদার, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদার, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মাদ আলী শাহ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য কামরুল ইসলাম চৌধুরী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ইদ্রিছ আজগর, সদস্য নজরুল ইসলাম তালুকদার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ছাদেকুন ন‚র সিকদার প্রমূখ। আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ ২০০৮ সালে পুনরায় ক্ষমতায় এসে সার বীজসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণে ভর্তুকি প্রদান করাসহ বিভিন্ন যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় বাংলাদেশ এখন খাদ্যে উদ্ধৃত্ত¡ অর্জন করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আবাদি জমির পরিমাণ বিশ্বে সর্বনিম্নে হলেও দেশ এখন খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে। দেশে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধানের অতিরিক্ত ফলনের কারণে দাম কম হলে সরকার চাল আমদানীতে শুল্ক বাড়িয়ে দিয়েছে। ২৬ টাকা কেজি দরে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করছে। এর ফলে বাজারে ধানের দাম স্থিতিশীলতা আসতে শুরু করেছে। অথচ বিএনপি কৃষকের উন্নয়নে কিছু না করেও এখনো নানা কুটকৌশলে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চাচ্ছে। জুটমিলের শ্রমিকদের আন্দোলনে উস্কানি দিয়ে কৃষকদের পুসলিয়ে তাদের দিয়ে আন্দোলন করাতে চেয়েছে। কিন্তু জনগণ বিএনপির এমন ঘৃণ্য কাজ রুখে দিয়েছে।

দলীয় নেতাকর্মীদের সাধারণ মানুষের সাথে বিনয়ী আচরণ করার আহবান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দল এখন পর পর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায়। আমরা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার পর কোন আনন্দ মিছিল করিনি। দল ক্ষমতায় থাকলে বিনয়ী হতে হয়। ক্ষমতায় থেকে তা প্রদর্শন করলে আল্লাহও নারাজ হন। তাই নেতাকর্মীদের বিনয়ী ও নম্্র হতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *