চট্টগ্রাম, , বুধবার, ৮ মে ২০২৪

প্রদীপ শীল রাউজান প্রতিনিধি

রাউজানে গভীর রাতে দুই ঘরে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরাঃ ক্ষয়ক্ষতি প্রায় পাঁচ লাখ টাকা

প্রকাশ: ২০১৯-০৬-০৬ ১৭:২৫:৪২ || আপডেট: ২০১৯-০৬-০৬ ১৭:২৫:৪২

প্রদীপ শীল,

রাউজান পৌর এলাকায় গভীর রাতে দুই পরিবারে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এসময় আগুনে নগদ টাকাসহ প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার আসবাবপত্র পুড়ে ছায় হয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৫জুন দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয় রাউজান পৌর এলাকার ৮নং ওয়ার্ডের মন্টু ঘোসের বাড়ির মৃত নিরঞ্জন দাশের দুই পুত্র দুলাল দাশ ও বিজয় দাশের ঘরে। রাত তিনটার দিকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছার আগে পুড়ে ছাই হয়ে যায় দুই বসত ঘর। দুলাল দাশের স্ত্রী অভিযোগ করে বলেছেন, আমার ভাসুর ও তার ছেলে মিলে ঘুমন্ত মানুষকে হত্যার জন্য আগুন দিয়েছে। এর আগেও আমার ভাসুর বিকাশ দাশ সন্ত্রাসী দিয়ে আমাদের উপর হামলা করেছে।

বিজয় দাশ তপু জানান, আমার বড় ভাই ও তার ছেলেরা গাউন্ড পাউডার দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে আমার পরিবারকে হত্যা লক্ষে আমাদের ঘরে আগুন দিয়েছে। তিনি বলেন তারা আমাদের মৃত্যু নিশ্চিত করতে আগুন দেয়ার আগে বাড়ির সব দরজা বাহির থেকে হুকবন্ধ করা হয়। তিনি আগুণের সূত্রপাত বর্ণনা করে বলেন, আগুনে লেলিহান শিখার তাপদাহ থেকে স্ত্রী ও পুত্রকে বাঁচাতে ঘরের একপাশ কেটে আগুন থেকে রক্ষা করি। এসময় আমার ছেলে আগুন লাগাতে আসা আমার বড় ভাইয়ের ছেলেকে দেখতে পায়। তার দাবি আগুনে নগদ ৯৫ হাজার টাকা, ৫ভরি স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্রসহ গৃহপালিত পশু আগুনে পুড়ে যায়। অগ্নিকান্ডের ঘটনা পরিদর্শন করেছেন পৌর সভার কাউন্সিলর এডভোকেট দীলিপ চৌধুরী।

তিনি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে সার্বিক সহযোগীতার আশ্বাস প্রদান করেন। এছাড়া মর্মান্তিক আগুন লাগানোর ঘটনায় দোষীদের তদন্ত করে ব্যবস্থা দেয়ার জন্য ফোন করে রাউজান থানাকে অনুরোধ জানান। এ প্রসঙ্গে এডভোকেট দীলিপ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে কেউ ঘরে আগুন দিতে পারে। নিরপেক্ষ ভাবে আমরা ঘটনার রহস্য জানার চেষ্টা করছি। পুলিশও ঘটনার তদন্ত করবে। যেই দুই পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তারা গরীব ও নিরহ। রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। পৌরসভা থেকেও আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।  এ রির্পোট লেখা পষর্ন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *