চট্টগ্রাম, , শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

জাহেদুল হক আনোয়ারা প্রতিনিধি

সি ইউ এফ এল সড়কের সিংহভাগ জায়গা বেদখল

প্রকাশ: ২০১৯-০৬-১২ ০১:২৪:৩৬ || আপডেট: ২০১৯-০৬-১২ ০১:২৪:৩৬

আনোয়ারা প্রতিনিধি :
আনোয়ারায় সি ইউ এফ এল সড়কের সিংহভাগ খোলা জায়গা বেদখল হয়ে গেছে। সড়কের এসব জায়গায় একাধিক রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের কার্যালয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এতে সরকারি সম্পত্তি বেহাত হয়ে পড়েছে।
উপজেলার চাতরী চৌমুহনী থেকে শাহাদত নগর পর্যন্ত চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানার (সিইউএফএল) নিজস্ব এই সড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ৫ কিলোমিটার। ১০০ ফুটেরও বেশি প্রশস্ত এই সড়কের প্রায় ৭০ ফুট অংশই দখল হয়ে গেছে। তার মধ্যে চাতরী চৌমুহনীবাজার ও বন্দর সেন্টার এলাকায় সড়ক দখল করে ব্যবসা করছেন হকাররা। বেশিরভাগ জায়গা হকারদের দখলে থাকায় দুর্ভোগে পড়ছে পথচারীরা। এর পাশাপাশি রিকশা, অটোরিকশা, ট্রাক আর ব্যক্তিগত গাড়ি পার্ক করার কারণে সড়কের প্রায় বেশ খানেক জায়গা দখল হয়ে গেছে। এতে চওড়া সড়কটি ও সংকীর্ণ হয়ে গেছে।
এদিকে বন্দর সেন্টারে সড়কের ৪ শতক জায়গা দীর্ঘদিন ধরে দখলে নিয়েছে প্রভাবশালী নবাব খান। ১/১১ সময় ওই জায়গা উদ্ধার করা হলেও আবারও বেদখল হয়ে যায়। তবে নবাবখানের দাবি ওই জায়গা সি ইউ এফ এলের নয়, তার কেনা সম্পত্তি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সি ইউ এফ এলের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, নিয়মিত অভিযান না থাকায় অবৈধ দখলের মাত্রা বেড়ে গেছে।
সরেজমিন দেখাযায়, শাহাদত নগর, বন্দর সেন্টার, কাফকো হাউজিং, আমান উল্লাহপাড়া, বৈরাগ ও চাতরী চৌমুহনী এলাকায় সড়কের দুই পাশে শতাধিক আধা পাকা, সেমিপাকা ঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। অবৈধভাবে সড়কের জায়গা দখল করে ইমারত নির্মাণ সামগ্রী বিক্রি করছে। কাঁচাবাজার, ফলের দোকান, মাংসের দোকানসহ নানাপণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানিরা। বেশকিছু স্থানে সড়কের জায়গা দখল করে গাড়ির স্ট্যান্ড বসানো হয়েছে।
ফলের দোকানি সাইফুল বলেন, ‘২০ বছর ধরে এইখানে দোকান করি। কখনো কারও সমস্যা হতে দেখি নাই।’অটোচালক সোলেমান বলেন,‘আমরা যাত্রী নেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছি।’এদিকে সড়কের দুইপাশে অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠায় পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। যে কারণে ব্যস্ততম এই সড়কের বিভিন্ন অংশে পানি জমে খানা-খন্দের সৃষ্টি হচ্ছে।
জানতে চাইলে সি ইউ এফ এলেরউপ-ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো.আমিরুল হক জানান, সড়কটি সিইউএফএলের নিজস্ব হলেও ম্যাজিষ্ট্রিসি ক্ষমতা আমাদের নেই। এজন্য উচ্ছেদ বিষয়ে একাধিক বার জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, এ সংক্রান্ত কোন নির্দেশনা এখনো পর্যন্ত পাইনি। নির্দেশনা পেলেই সড়কের এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *