চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

এম মাঈন উদ্দিন মিরসরাই প্রতিনিধি

দুরারোগ্য রোগাক্রান্ত বাহার এর পরিবারের পাশে মিরসরাই মডেল সরকারি বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী পরিষদ

প্রকাশ: ২০১৯-০৬-১৯ ০০:০৮:১৭ || আপডেট: ২০১৯-০৬-১৯ ০০:০৮:১৭

 মিরসরাই প্রতিনিধি : দুরারোগ্য রোগাক্রান্ত বাহার এর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন মিরসরাই মডেল সরকারি বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী পরিষদ। মিরসরাই সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ তালবাড়িয়া গ্রামের ছোট্ট এক ঘরে তিন সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে তাঁর বসবাস। এক সময় কাঠমিস্ত্রী’র কাজ করতেন । টানাটানির সংসার কোনরকমে চলছিল। কিন্তু বিধি বাম। তিন বছর আগে নিজের ঘরের সামনে নারিকেল গাছ থেকে পড়ে গিয়ে ঘটে যায় জীবনের সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা। মেরুদণ্ড ভেঙ্গে যায়।

অভাবের সংসারে ধার দেনা করে যতটুকু পেরেছেন চিকিৎসা করার চেষ্টা করেছেন। সংসারইতো চলে না ঠিক মত; কতটুকুইবা আর ভাল চিকিৎসা করাবেন। হয়ে যান শয্যাশায়ী, হারিয়ে ফেলেন চলাফেরার শক্তি। একনাগাড়ে বিছানায় শুয়ে থাকতে থাকতে পচন ধরে শরীরে। বাড়তে থাকে পচন। আস্তে আস্তে শরীরের পিছনের অংশে ছড়িয়ে পরে ক্ষত। কি এক দূর্বিষহ জীবন। ডাক্তার এনে বাড়িতে ড্রেসিং করানোর ক্ষমতা নেই। তাই স্ত্রীর সহযোগিতায় কোন রকমে ড্রেসিং করা হয়। প্রতিদিনের ঔষধ খরচই লাগে প্রায় ২৫০-৩০০ টাকা। তাছাড়া তিন সন্তানের লেখাপড়ার খরচ আর পরিবারের ভরণপোষণ; আয়তো নেই। মানবেতর জীবনের গ্লানি টানতে ব্যর্থ হয়ে বাধ্য হয়েই মানুষের কাছে হাত পাতা শুরু করেন বাহার।

গত শীত মৌসুমে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী পরিষদ কর্তৃক অত্র এলাকার অসচ্ছল মানুষদের শীতবস্ত্র বিতরণের লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে জরিপ পরিচালনা করার সময় বাহার এর ব্যাপারে অবগত হয় পরিষদ। এরমধ্যে খন্ড খন্ড ভাবে কিছু কিছু সহযোগিতা, পরিষদের পক্ষ থেকে। সমগ্র ব্যাপারটি জানতে পেরে পরিষদের আজীবন পৃষ্ঠপোষক সাইফুল ইসলাম প্রস্তাব করেন তাকে মোটামুটিভাবে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ গ্রহণের। যাতে অন্ততঃ নিজের ঔষধ খরচ ও কোনরকমে পারিবার চালানোর জন্য দৈনিক একটা আয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়া যায় কিনা। সে প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসেন পরিষদের আরেকজন আজীবন পৃষ্ঠপোষক আব্দুল মতিন ও সম্মানিত পৃষ্ঠপোষক আনোয়ার হোসেন। তিন জনের সার্বিক সহযোগিতায় পরিষদের পক্ষ থেকে বাহার এর জন্য ক্রয় করা হয় একটি অটোরিকশা।

যা গত সোমবার তার বাড়িতে গিয়ে হস্তান্তর করা হয়। এই অটোরিকশা’র প্রতিদিনের আয় দিয়ে হয়তো কিছুটা হলেও ভালোভাবে চলবে বাহার এর প্রতিদিনের চিকিৎসা ব্যয় ও সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ।এসময় প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পরিষদের নেতৃবৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *