চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

প্রদীপ শীল রাউজান প্রতিনিধি

বিভিন্ন অভিযোগে আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত টিমের ৫ সদস্যের কাগতিয়া মাদ্রাসায়

প্রকাশ: ২০১৯-০৬-২৫ ০০:০৭:০৫ || আপডেট: ২০১৯-০৬-২৫ ০০:০৭:০৫

প্রদীপ শীল,রাউজান প্রতিনিধিঃ

কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল এম.এ. মাদরাসার বিরুদ্ধে ভূমি দস্যুতা, রেজুলেশন ছাড়া বেতন উত্তোলন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এনে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য, ১৯৭১ সালে রাজাকার ক্যাম্প, জঙ্গি সম্পৃক্ততাসহ অন্তত ১৮টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে নেমেছে আরবী বিশ্ববিদ্যালয়। ২৪জুন সোমবার বেলা ১১টা থেকে প্রায় দেড়টা পর্যন্ত ঢাকা আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ সদস্য মাদরাসা পরিদর্শন ও অভিযোগসমূহ যাচাই-বাচাই করেন। তদন্তে আসা আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ সদস্য স্থানীয় লোকজন, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ মাদরাসায় নিয়োজিত শিক্ষকদের সাথে কথা বলেন। অভিযোগসমূহ যাচাই-বাচাই করেন। তদন্তে আসা আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ সদস্য তদন্তের স্বার্থে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ও সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য নেন। মাদরাসায় তদন্ত কমিটির সদস্যরা আসলেও সেখানে অধ্যক্ষ ছৈয়্যদ মুনির উল্লাহ অনুপস্থিত ছিলেন। তবে তার দুইভাই ও মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষক ও লাইব্রেরিয়ান উপস্থিত ছিলেন। এসময় তদন্তে আসা সদস্যরা অভিযোগসমূহ উত্থাপন করে শিক্ষকদের কাছ থেকে সত্যতা যাচাই করেন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করেন। তদন্তে আসা ৫ সদস্য মাদ্রাসা পরিদর্শন ও মাদরাসার অধ্যক্ষ ছৈয়্যদ মুনির উল্লাহর কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধিন বিলাস বহুল ভবন পরিদর্শন করেন। তদন্তের বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তদন্তে আসা আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা সাংবাদিকদের বলেন, তদন্তের স্বার্থে আমরা গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে কথা বলছিনা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা মাদ্রাসায় এসেছি, আমরা আমাদের তদন্ত কাজ শেষ করে চলে যাবো। জানা যায়, কাগতিয়া এম.এ. কামিল মাদরাসা আরবী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রিত। এর আগে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে উপজেলা প্রশাসনকে লিখিত চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছিল আরবী বিশ্বিবিদ্যালয়ের একটি তদন্ত টিম মাদরাসায় আসবে। ওই চিঠিতে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বিদ্যুৎসাহি ব্যক্তিকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়। এদিকে আরবি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তদন্তের জন্য ৫ সদস্য মাদরাসায় আসার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান অনেক ভুক্তভোগী ব্যক্তিবর্গ তাদের অভিযোগসমূহ তুলে ধরেন। এছাড়াও মাদরাসার অধ্যক্ষ ছৈয়্যদ মুনির উল্øাহর দুই ভাইও উপস্থিত থেকে তাদের অভিযোগসমূহ পেশ করেন। এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আরবি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি প্রতিনিধি দল মাদরাসায় এসেছে। তারা যে অভিযোগসমূহ পেয়েছে তা যাচাই-বাচাই করার জন্য বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজনের সাথে কথা বলেছেন। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন। আরবি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তদন্তে আসা ৫ সদস্যরা হলেন, গিয়াস উদ্দিন আহম্মদ, সিনেট সদস্য প্রফেসর রেজাউল করিম, অফিসার মোশাররফ মামুন, সহকাযোগী প্রফেসর জাবেদ ও মান্নান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *