চট্টগ্রাম, , মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি

গর্জনিয়ায় বনের জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে ঘেরা ভাংচুর বাড়ীতে লুটপাট,প্রতিপক্ষের না

প্রকাশ: ২০১৯-০৬-২৭ ২৩:২৩:১৪ || আপডেট: ২০১৯-০৬-২৭ ২৩:২৩:১৪

 মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কুঃ কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নে সামাজিক বনায়নের জায়গা দখলে নিতে ঘেরা ভাংচুর করে বাড়িতে লুটপাট করার অভিযোগ তুলেছেন জিয়াউল হোসেন নামে এক ব্যক্তি। জিয়াউল জানান তিনি বিবাহ সূত্রে এই এলাকায় দীর্ঘ দিন বসবাস করে আসছেন। বন বিভাগের এই জায়গা তার বউয়ের বড় ভাই নুর মোহাম্মদ মোস্তফা হিরুর দখলিয়। হিরু এক জন সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী এ সুবাদে তারা এই বনের জায়গা দখলে আছে। গত কাল সে বাড়িতে না থাকার সুযোগে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তার প্রতিপক্ষরা।

জিয়াউলের স্ত্রী এমেলী শাকেরা জোসনা সাংবাদিকদের জানান, গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে কুকুরের আওয়াজ শুনে তিনি বাড়ির দরজা খুলে এ সময় মুখোশ পরা ৪/৫ জন লোক বাড়ীতে ঢুকে প্রথমে আমার মুখ চেপে ধরে আর একজনে হাত ধরে বাকীরা বাড়িতে ঢুকে রক্ষিত ৭৫ হাজার টাকা, ২ ভরী স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যায়। আর বাহিরে ৬/৭ জন অপরিচিত লোক আমাদের দখলিয়া বন বিভাগের জমির ঘেরা ভাংচুর করে। এদিন রাত ১২ টা থেকে ২টা পর্যন্ত তান্ডব চালিয়ে এ ঘটনা ঘটায় দুর্বৃত্তরা। জোসনা আরো জানান প্রতিপক্ষ মৌলানা মাহমুদুল হাসান ও তার ভাইদের নির্দেশে হামিদ, আয়ুব,মোঃ হোসেনসহ ১০/১২ জন ব্যক্তি এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তার ধারণা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মৌলানা মাহমুদুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের বাপ দাদার আমল থেকে এই জায়গা আমাদের দখলে আছে এবং চর্তুপাশে আমাদের খতিয়ান ভুক্ত জমি। আর আমি একজন বর্তমানে বন জাগিদার (বিলিজার) এবং সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীও এ সুবাদে দীর্ঘ দিন ধরে এই জায়গা আমাদের দখলে আছে। কয়দিন আগে জিয়াউল, রমজানসহ এলাকার কিছু লোক নিয়ে জায়গাটি ঘিরে রাখে জিয়াউল।

খবর পেয়ে আমি এই বিষয়ে রামু থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। বর্তমানে উক্ত অভিযোগ গর্জনিয়া পু্লিশ ফাঁড়ীতে বিচারাধীন। এই জন্য আমাকে ফাঁসাতে তারা নিজেরা ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে যা সাজানো নাটকের মত। স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আবদুল জব্বার থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান তার এলাকায় কোন ধরনের লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি এবং এলাকার একজন আলেমদ্বীন হাসান সাহেব এই কাজ কোন দিন করবেনা তার বিশ্বাস। তিনি ঘেরা ভাংচুর কে বা কারা করেছে বিষয়টি পরে জানাবেন বলে লাইন কেটে দেন। ঐ এলাকার স্থানীয় কৃষক আশরাফুজ্জামান থেকে জানতে চাইলে তিনি ঘেরা ভাংচুরের কথা স্বীকার করেন। তবে কে বা কারা করেছে দেখেননি তিনি।

এ বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে যে কোন মুহুর্তে সংর্ঘষের আশংকা করছে এলাকাবাসী। গর্জনিয়া বন বিট অফিস সূত্রে জানা যায় কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের দুর্গম থোয়াঙ্গারকাটার মৌলভীর ঘোনা পাহাড়ী এলাকার বন বিভাগের ১৫ হেক্টর জায়গা ঐ এলাকার ৩৮ জন ব্যক্তিকে উপকারভোগীর তালিকা করে গর্জনিয়া ঘিলাতলী বিটের আওতায় ২০১২-১৩ ইং সনে সৃজিত ১৫ হেক্টর বাঁশ বাগান রক্ষণা-বেক্ষণের জন্য স্থানীয়ভাবে নির্বাচিত করেন।

তার মধ্যে জিয়াউল হোসেনের বউয়ের ভাই নুর মোহাম্মদ মোস্তফা হিরু ও মাহমুদুল হাসানের নাম রয়েছে। এ ব্যাপারে বিচারাধীন অভিযোগের তদন্ত কারী কর্মকর্তা গর্জনিয়া পুলিশের এ এস আই মনজুর এলাহীর কাছে অভিযোগ রয়েছে বলে স্বীকার করেন এবং এলাকায় কোন ধরনের লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি বলে জানান। এলাকাবাসী বিষয়টি দ্রুত নিরসনের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *