চট্টগ্রাম, , সোমবার, ৬ মে ২০২৪

এম মাঈন উদ্দিন মিরসরাই প্রতিনিধি

মিরসরাইয়ে ভিক্ষুক ও প্রবীণদের মাঝে উপকরণ বিতরণ

প্রকাশ: ২০১৯-০৭-০১ ১৮:১৩:০৬ || আপডেট: ২০১৯-০৭-০১ ১৮:১৩:০৬

মিরসরাই প্রতিনিধি:

মিরসরাইয়ের এনজিও প্রতিষ্ঠান অপকা’র (অর্গানাইজেশন ফর পুয়র এডভান্সমেন্ট) উদ্যোগে ভিক্ষুক ও প্রবীণদের মাঝে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। গত শনিবার (২৯ জুন) প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে উপকরণ বিতরণ করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি. অধ্যাপক ডাঃ ইসমাইল খান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য শেখ আতাউর রহমান, মিরসরাই বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল আবছার, মিরসরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, চট্টগ্রাম উইম্যান চেম্বারের সহ-সভাপতি রুহি মোস্তাফা, সমাজকর্মী মীর আলম মাসুক, সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান ইয়াসমিন আক্তার কাকলী, মঘাদিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহীনুল কাদের চৌধুরী, মিরসরাই প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শারফুদ্দীন কাশ্মীর, সমাজকর্মী নাসির উদ্দীন দিদার, সমাজ সেবক রেজাউল করিম মাস্টার, কমর্ফোট হাসপাতালের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, অপকার কার্যকরী পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের সম্মানিত সদস্যবৃন্দ।
অপকার নির্বাহী প্রধান মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অপকার প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোরশেদা আক্তার শিল্পী। জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানের শুরুতে সঞ্চালক মোরশেদা আক্তার শিল্পী সংস্থার সৃষ্টি ও ক্রমবিকাশ এবং চলমান কর্মসূচি সর্ম্পকে উপস্থিত সকলকে অবহিত করেন।
প্রধান অতিথি ডাঃ ইসমাইল খান তাঁর বক্তব্যে বলেন, অপকা গরীব মানুষকে সম্পৃক্ত করে যে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে, বিশেষ করে স্যানিটেশন, স্বাস্থ্য, আতœকর্মসংস্থান, পরিবেশ উন্নয়ন, এসডিজি’র ৪টি গোলের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের হাতধোয়া কর্মসূচি একটি সৃজনশীল কার্যক্রম বলে মনেকরি। তিনি বলেন, শুধুমাত্র সঠিক ভাবে সঠিক পদ্ধতিতে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে ৫০% রোগ থেকে মানুষ মুক্তি পেতে পারে মানুষ। তিনি বলেন, বেদনাহত ও দুস্থ্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও অটিষ্টিক শিশুদের নিয়ে কার্যক্রম বাস্তবায়ন আমার মনে দাগ কেটেছে। অপকা’র মাধ্যমে বাস্তবায়িত মিরসরাই অটিজম সেন্টারে আমি সম্পৃক্ত থাকতে চাই। মিরসরাই উপজেলার ১ নম্বর করেরহাট ইউনিয়নের ভিক্ষুকদের ১ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করে ভিক্ষাবৃত্তি থেকে ফিরে এসে অন্য কাজ করা, অপকার একটি ব্যতিক্রমধর্মী এবং বৈপ্লবিক উদ্যোগ। আজ অপকার কার্যক্রম পরিদর্শন করে আমি বুঝতে পারলাম, সত্যিকার অর্থে অপকা গরীব মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে এবং এটি গরীব মানুষের প্রানপ্রিয় সংগঠন। অপকা’র সাথে মিরসরাইয়ের সকল স্তরের মানুষের সম্পৃক্ততা দেখে আমি অবিভূত।
অনুষ্ঠানে অপকা’র কর্মসূচি পাঠশালার আওতায় অটিজম সেন্টার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। অটিজম সেন্টারের সমন্বয়কারী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মিরসরাই প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক ও সাবেক সভাপতি শারফুদ্দিন কাশ্মীর এবং মিরসরাইয়ের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ইয়াসমিন আক্তার কাকলী।
আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি প্রবীণদের মাছে ছাতা, চাদর এবং ভিক্ষুকদের মাঝে কবুতর বিতরন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *