নীরব জসীম ডেস্ক কন্ট্রিবিউটর
প্রকাশ: ২০১৯-০৭-০৬ ২৩:৩৯:০৫ || আপডেট: ২০১৯-০৭-০৬ ২৩:৩৯:০৫
লোহাগাড়া অফিস : লোহাগাড়া উপজেলায় দিনদিন ভূয়া সাংবাদিকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে চলেছে। তারা কোন বাধা বিপত্তি না পেয়ে উপজেলার সদরসহ প্রশাসনের নাগের ডগায় ঘুরে বেড়ায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে কেউ আন্ডারগ্রান্ড পত্রিকা , কেউ মাসিক, কেউ সাপ্তাহিক পত্রিকা আবার কারও কোন পত্রিকাও নেই। কিন্তু পরিচয় দেয় দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক।
এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন চ্যানেলের ভূয়া সাংবাদিক। তাদের মধ্যে আবার কারো শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেটও নেই। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে তাদেরকে কাধে ক্যামরা ঝুলিয়ে মোটর সাইকেল হাকিয়ে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। সামাজিক কিংবা প্রশাসনিক কোন সভা সমাবেশে তাদের তৎপরতা বেশি পরিলক্ষিত হয়। সভায় আগত অতিথি ও সুধীজনকে ক্যামরার ঝিলিকে বিরক্ত করে তুলে। তারা সভায় একের পর এক ক্যামরা ক্লিককে সভার পরিবেশ নষ্ট করে তুলে বলে সূত্রেপ্রকাশ। এতে দৈনিক পত্রিকার সংবাদ কর্মিরা বিব্রত অবস্থায় পড়ে। সভার সুধীজনের মধ্যে কেউ কেউ বিরুপ মন্তব্য করতে ও শোনা যায়।
এসব ভূয়া পরিচয়ধারী সাংবাদিকেরা যাদের ছবি তুলেছে (ধারণ করেছে) পথিমধ্যে তাদের কাছ থেকে টাকা দাবি করে বলে জানা গেছে। তারা সাংবাদিক পেশাকে লাভজনক মনে করে অন্য পেশা ছেড়ে হলুদ সাংবাদিকতায় নেমেছে। অথচ সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। প্রকৃত সংবাদ কর্মিরা জাতির ক্রান্তি লগ্নে জীবন বাজী রেখে ভূমিকা রাখে। এমন একটি পেশাকে ভূয়া সাংবাদিকরা একমুঠো ভাতের জন্য কলুষিত করে চলেছে। তারা বেপরোয়া হওয়ার কারণ, প্রশাসনের খামখেয়ালীপনা ও প্রকৃত সাংবাদিকদের নীরবতা। এসব ভূয়া সাংবাদিকদের ব্যাপারে পদক্ষেপ না নিলে এক সময় বেপরোয়া হয়ে দাড়াবে।
একটি সূত্রে জানায়, লোহাগাড়ায় প্রায় ২০/২৫ জনের মত ভূয়া সাংবাদিক রয়েছে। যাদের নেই কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা, নেই কোন পত্রিকা। এসব ভূয়া সাংবাদিকরা নামস্বর্বসহ অনলাইন নিউজ পোর্টালের পরিচয় দিয়ে বেড়ায়। আবার যারা নামে বেনামে পত্রিকার প্রতিনিধি পরিচয় দেয়, তাদের পত্রিকার চেহারা কখনও পত্রিকার হকার স্টলে দেখা মিলেনা। এদের ব্যাপারে এলাকার ভুক্তভোগী মানুষ, এসব ভূঁইফোড় সাংবাদিকদের আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।