চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

দূর্গত এলাকায় ঘরে ঘরে শুকনো খাবার হাতে ইউএনও !

প্রকাশ: ২০১৯-০৭-১৪ ১৮:০৮:২৯ || আপডেট: ২০১৯-০৭-১৪ ১৮:০৮:২৯

 

আব্বাস হোসাইন আফতাব, রাঙ্গুনিয়া :
“ কয়েকদিন ধরে পানিবন্দী রয়েছি। পরিবারের ৫ জন সদস্য রয়েছে। বাইরে থেকে খাবার এনে কষ্ট করে খেতে হচ্ছে। রান্নাঘর পানিতে ডুবে আছে। রান্নাও হচ্ছেনা বাড়িতে। শুকনো খাবার পেলাম। রাতে খেতে পারব। ১০ আইটেম রয়েছে প্যাকেটে, অন্তত কয়েকদিন তো চলবে। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা ইউনিয়নের ভূমিরখীল গ্রামের পানিবন্দি মনোয়ারা বেগম (৪৮) ত্রাণ পেয়ে কথাগুলো বলছিলেন। মনোয়ারা বেগমের মতো এই গ্রামের ৩০ পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পানিবন্দি দূর্গত এলাকায় শুকনো খাবার নিয়ে ঘরে ঘরে বিতরণ করতে বের হন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
ইউএনও মো. মাসুদুর রহমান বলেন, “ পুরো রাঙ্গুনিয়ার দূর্গত এলাকায় ঘরে ঘরে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। অনেক সময় সরকারি ত্রাণ প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন পায়না। যাদের মাধ্যমে বিতরণ হয় তারা অনেক সময় সঠিকভাবে দেননা। যারা ত্রাণ পাওয়ার যোগ্য তাদের হাতে পৌঁছাতে এই উদ্যোগ নিয়েছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা যাতে মানুষের বাড়িতে গিয়ে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের হাতে সরকারি সাহায্য তুলে দিতে পারেন তাদের সজাগ করতে এই কার্যক্রম চালাচ্ছি। দূর্যোগে সবার সম্মিলিত প্রয়াস দরকার। ”
মানবাধিকার নেতা মাহাবুবুল আলম সিকদার বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইউএনও সাহেবের কর্মকান্ড পাচ্ছি। এলাকার মানুষ উনার কাজের প্রতি সন্তুষ্ট। যেখানে অনেক জনপ্রতিনিধিরা এলাকায় নেই। সেখানে ইউএনও মহোদয়ের এমন কাজে অনেকেই মুগ্ধ হয়েছেন। উনার কর্মকান্ড অনেকের কাছে দৃষ্টান্ত হবে।”
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাবুল কান্তি চাকমা বলেন, “ বিভিন্ন ইউনিয়নের পানিবন্দি এলাকায় শুকনো খাবারের প্যাকেট নিজের হাতে ঘরে ঘরে গিয়ে বিতরণ করছেন ইউএনও মহোদয়। আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্লাবন ও পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে তাৎক্ষনিকভাবে প্রতি পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *