নীরব জসীম
ডেস্ক কন্ট্রিবিউটর
প্রকাশ: ২০১৯-০৮-০৬ ২২:২৬:২৪ || আপডেট: ২০১৯-০৮-০৬ ২২:২৬:২৪
নীরব জসীম, লোহাগাড়া অফিস : আসন্ন কোরবানের ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার কামারের দোকানগুলোতে কামারিরা ব্যস্ততম সময় পার করছে। সারাদিন টুংটাং শব্দে দোকানগুলো যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে কামারের দোকানে গ্রাহকের আনাগোনাও বেড়েছে। তারা দা, বটি, ছুরি, ধামাই শাণ ও তৈরিতে ব্যস্ততম সময় পার করছে। দোকানের সামনে বিক্রির জন্য সাজিয়ে রেখেছে দা, ছুরি, বটি, ধামাইসহ কুড়াড়, হন্তি ।
৬ আগস্ট উপজেলার প্রাচীনতম বাজার দরবেশহাটের কামারের দোকানগুলোতে সরেজমিনে গিয়ে এসব চিত্র চোখে পড়েছে। দোকানে পশুর চামড়া ছাড়ানোর জন্য ছোট দেশি ছুরি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ১২০টাকায়। মাঝারিগুলোর ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা এবং বড় সাইজের ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা ও বঁটি আকারভেদে ৩০০ থেকে৮০০ টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকা হচ্ছে। এছাড়াও হাড় কাটার জন্য বিভিন্ন সাইজের ধামাইয়ের দাম হাঁকা হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকার উপরে। আর ছুরি, বটি, ধামাই তে শাণ দেওয়ার জন্য নেওয়া হচ্ছে ৩০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত ।
এসময় কামার হরিপদ দাস কর্মকার প্রতিবেদককে বলেন, বছরের প্রায় সময় আমাদের বসে বসে কাটাতে হয়। শুধুমাত্র কোরবানের ঈদে আমাদের এই ব্যবসা কিছুটা সরগরম হয়। আর সাপ্তাহিক বাজার বারে আমাদের কিছুটা বেচা বিক্রি হয়। অন্য সময়ে আমাদের কাজ নেই বললেই চলে। ফলে অনেকেই এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে। আর আমার বাপ-দাদারা এই ব্যবসা করে আসছে বলে আমি এখনও এই পেশায় আছি। তিনি আরো বলেন, বাজারে চায়না কোম্পানির চাকু, কুড়াল, হন্তিসহ পাওয়া যাওয়ায় দিন দিন আমাদের এই ব্যবসায় ধ্বস নেমে আসছে।