চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি

নাইক্ষ্যংছড়ির প্রাণ কেন্দ্রে পরিত্যক্ত ভবন এখন অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য

প্রকাশ: ২০১৯-০৮-০৬ ২২:০৬:০০ || আপডেট: ২০১৯-০৮-০৬ ২২:০৬:০০

 মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু : বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির প্রাণ কেন্দ্রে উপজেলা পরিষদের সরকারি পরিত্যক্ত বন মল্লিকা, বনলতা আবাসিক ভবন ও সাবেক পরিসংখ্যান অফিসের পরিত্যক্ত ভবন এখন অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিনত হয়েছে। অপর দিকে এসব ভবনগুলোর কারণে ছোট শহর পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়ির নৈসর্গিক সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। ময়লা আবর্জনা ও আগাছায় ভরা এ ভবন গুলোর আশেপাশে লোকজনের চলাচল কম থাকায় সেখানে চুরি-ছিনতাই ও দাগী অাসামীরা অাশ্রয় নেয়। চুরি-ছিনতাই এর টাকা ভাগ-বাটোয়ারাও হয় এ পরিত্যক্ত ভবনে।

দিনরাত মাদক সেবনে ব্যস্ত থাকে কতিপয় মাদকাসক্ত এসব এলাকার যুবক। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, পার্শ্ববর্তী মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের কিছু বখে যাওয়া ছাত্র বিদ্যালয় ফাঁকি দিয়ে ধুমপান ও মাদক সেবনের জন্য বেছে নেন এই ভবন। অনেক সময় শ্রেণী কার্যক্রমের প্রায় পুরোটা সময় তারা সেখানে কাটায়। স্থানীয় অনেকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করে জানিয়েছেন, রাতে বন মল্লিকা ও বনলতা পরিত্যক্ত ভবনের দ্বিতীয় তলায় অপরাধী এসে আশ্রয় নেয়। তারা রাতভর সেখানে মাদক সেবন করে। ঐ অপরাধী চক্রটি প্রতিনিয়ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীরদের ফাঁকি দিয়ে চুরি ছিনতাইয়ের টাকাও ভাগ বাটোয়ারা করা হয় বলে জানা গেছে। ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে নিজেদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা, মারামারি ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ নিত্যদিনের পেশায় পরিণত।

এ ছাড়াও অপরাধীরা প্রায় সময় এ ভবন থেকে বের হয়ে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের উত্যক্ত করে। আশে-পাশের লোকজন এইসব দেখলেও ভয়ে কারো বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পাননা। নাম প্রকাশ না করার সত্বে এক ব্যক্তি আক্ষেপ করে বলেন ঐ পরিত্যক্ত ভবনে দিনের বেলায় বিদ্যালয় ফাঁকি দিয়ে ভীড় করে বখে যাওয়া কিছু উশৃঙ্খল কিশোর।তাদের মধ্যে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কিছু ছাত্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্টানের ছাত্র ও রয়েছে। তারা মূলত সেখানে ধুমপান ও আড্ডা-ফুর্তিতে মেতে থাকে। বিশেষ করে শুক্রবার এসব বখে যাওয়া কিশোরের উৎপাত বেশি হয় বলে জানান।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী এবিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে বলেন সরকারী এ ভবন দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেখানে আমার করার কিছু নেই। এসব উপজেলার বিষয়। তবে সেখানে দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের উৎপাত অব্যাহত থাকলেও কেউ মুখ খুলতে রাজি নয়। স্থানীয় সচেতন লোকজনের দাবী,পরিত্যক্ত ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ করে বাসযোগ্য করা হলে অপরাধীদের আনাগোনা বন্ধ করা যাবে।

অন্যদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সৌন্দর্য্য বাড়বে। স্থানীয়দের মতে যতদিন পর্যন্ত এ ভবন এ ভাবে থাকবে ততদিন অপরাধীদের অপতৎপরতাও থাকবে তাই সচেতন মহল এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকদেরও নজর রাখা জরুরী বলে মনে করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *