চট্টগ্রাম, , সোমবার, ২০ মে ২০২৪

মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি

কোরবানির ২ দিন পরে হলেও মাংস পেয়ে রোহিঙ্গাদের মাঝে উৎসবের আমেজ

প্রকাশ: ২০১৯-০৮-১৮ ২২:১০:৩৮ || আপডেট: ২০১৯-০৮-১৮ ২২:১০:৩৮

 

মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কুঃ
কোরবানের ঈদের দুইদিন পরে হলেও অবশেষে কোরবানির মাংস পেল ঈদেরদিন মাংস না পাওয়া রোহিঙ্গারা। এদিন তাদের মনে-প্রানে ঈদ আনন্দের চিত্র লক্ষ করা গেছে। তাই মেতে উঠেছিল যেন উৎসবের আমেজে। বাংলাদেশে বিগত ২ টি কোরবানীর ঈদ পালন করল আশ্রিত রোহিঙ্গারা। বয়স্ক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ নিজেরাই মিয়ানমার জান্তা সরকার কর্তৃক নির্মমতার স্নৃতি স্নরণ করে অনেকেই কেদেঁছেন।নানা কষ্ট চাপিয়ে ঈদুল আযহার দিনে একটু সুখ খোঁজে বেড়ান। তাঁর মধ্যে শিশুদের মাঝে বেশী আনন্দ উচ্ছাস করে বেশি। কিন্তু ঈদুল আযহ’র এ দিন কিছু রোহিঙ্গা মাংস পাইনি এমন খবরে দ্রুত এগিয়ে আসেন এন.জেড.একতা মহিলা সমিতি।
তাই কোরবানির মাংস নিয়ে রোহিঙ্গাদের মাঝে বিতরণ করে প্রশংসা কুড়িয়েছে এ এনজিও সংস্থাটি। ইসলামিক রিলিফ ওয়ার্ল্ডওয়াইডের অর্থায়নে এন.জেড.একতা মহিলা সমিতি (লামা)বান্দরবানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে মাংস বিতরণ কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে।রোহিঙ্গা দিলদার হোসেন জানান,বহু স্বজন পাশে নেই। এবারের কোরবানে কিছু মাংস পেয়ে ছোট ছেলে-মেয়েদের নিয়ে খুশি।যারা মাংস দিয়েছে তাদের প্রতি হাজার শুকরিয়া।রোহিঙ্গা শিশু জয়নব(৮)চোখে-মুখে হাসি এবং হাতে মাংসের পলিথিন বলছিল,গোশত খেয়ে নানীর কাছে “যাইয়ুম”।আগে পাওয়া গুলো হাইয়ুম।বেশি খুশি লাগের বলে শিশু জয়নবের মত আরো অনেকেই জানান।

এতে কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের নির্দেশনায় কোরবানির ৯৮টি গরুর মাংস ১৯ নং ক্যাম্পেত ৫২ ৯৭ রোহিঙ্গা পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়।ককসবাজার জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় হোষ্ট কমিউনিটি জন্য উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে চকরিয়া উপজেলায় ১২টি গরু, কুতুবদিয়া উপজেলায় ১০টি গরু এবং পেকুয়া উপজেলায় ১০টি গরু সর্বমোট ১৩০টি গরুর মাংস বিতরণ করা হয়।এসব মাংস বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন সাইট ম্যানেজমেন্ট প্রিমার ইন্টারন্যাশনাল আর্জেন্সির প্রতিনিধি ক্লিমেনটেইন ইসলামিক রিলিফ ওয়ার্ল্ডওয়াইডের প্রতিনিধি জাফর আলম,আরিফ উদ্দিন, এন.জেড.একতা মহিলা সমিতির ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক আবুল কালাম, মনিটরিং অফিসার আবদুল হামিদ সজীব, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিগণ। মনিটরিং অফিসার আবদুল হামিদ সজীবের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন ১৫ সদস্য টিমের মাধ্যমে কোরবানী বর্জ্য পরিস্কার করে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দেয়া হয়েছে এবং গর্ত করে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গতঃ ১৯ নং ক্যাম্পে বর্তমানে ১৪০ টি সেল্টার (আশ্রয়ন কেন্দ্র),টয়লেট,গোসলখানা, সোলারলাইট,গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজ বাস্তবায়ন করছে এন.জেড.একতা মহিলা সমিতি।পাশাপাশি হোষ্ট কমিউনিটির জন্য উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নেও একই কাজ ইসলামীক রিলিফ ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের আর্থিক অর্থায়নে এন.জেড.একতা মহিলা সমিতির সহযোগিতায় বাস্তবায়িত কাজ সমাপ্তের পথে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *