চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

নীরব জসীম ডেস্ক কন্ট্রিবিউটর

নগরীতে এমপির ভাইয়ের বাসায় চুরি : যুবলীগ নেতাসহ গ্রেফতার ৬

প্রকাশ: ২০১৯-০৮-২৬ ০০:১৮:১২ || আপডেট: ২০১৯-০৮-২৬ ০০:১৮:১২

নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রামে সংসদ সদস্য এম এ লতিফের ভাইয়ের বাসায় চুরির ঘটনায় যুবলীগ নেতাসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। তবে যুবলীগ নেতাসহ দু’জনের পরিবারের দাবি, তাদের ২২ আগস্ট রাতে ধরে নিয়ে থানায় আটক রাখা হয়েছে।

গ্রেফতার ছয়জন হলেন- নগরের শুলকবহর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি সাজ্জাদ হোসেন টিপু, সুলতান আরেফিন জীবন, ইসমাইল হোসেন, মো. শরীফ, জেসমিন আক্তার ও রেহানা আক্তার। তাদের কাছ থেকে চার লাখ ৩০ হাজার টাকা ও ৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়েছে।

বন্দর থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী জানান, ১৯ আগস্ট রাত সাড়ে ৩টা থেকে সকাল সাড়ে ৭টার মধ্যে নগরের মধ্যম গোসাইলডাঙ্গায় এমপি এম এ লতিফের ভাই এম এ মজিদের বাসায় চুরি হয়। এ ঘটনায় এম এ মজিদের ছেলে ইফতেখার হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই মামলার তদন্তে নেমে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি জানান, মামলার বাদী ইফতেখার এবং গ্রেফতার জীবন ও টিপু পরস্পরের বন্ধু। তারা একসঙ্গে ব্যবসা করেন। ইফতেখার তাদের কাছে টাকা পান। এ নিয়ে তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হলে জীবন ও টিপু মিলে ইফতেখারের বাসায় চুরির পরিকল্পনা করেন। গ্রেফতার হওয়া ইসমাইলের মাধ্যমে তারা শরীফ ও আমির নামের দু’জন পেশাদার চোরকে চুরির দায়িত্ব দেন। ১৯ আগস্ট ইফতেখার পরিবার নিয়ে কক্সবাজার যান। বিষয়টি ইফতেখারের সঙ্গে ফোনে কথা বলে নিশ্চিত হন জীবন। ওই দিন রাতে শরীফ ও আমির এম এ মজিদের বাসায় চুরি করে। গ্রেফতার জেসমিন আক্তার ও রেহানা আক্তার আমিরের দুই স্ত্রী।

তবে গ্রেফতার সুলতান আরেফিন জীবনের বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ইফতেখারের সঙ্গে জীবনের ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। ব্যবসায়িক কাজে প্রায় সময় ইফতেখারের বাসায়ও যেতেন জীবন। ২২ আগস্ট রাতে তাকে ও টিপুকে ফোন করে জিইসি মোড়ের হোটেল লর্ডস ইনের সামনে আনেন ইফতেখার। সেখান থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

তিনি বলেন, বিনা অপরাধে তিন দিন ধরে তাদের থানায় আটকে রাখা হয়েছিল। ২৪ আগস্ট রাতে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। তাদের মধ্যে কোনো কারণে ব্যবসায়িক বিরোধ হয়েছিল হয়তো। এ জন্য জীবন ও টিপুকে ফাঁসানো হয়েছে।

থানায় আটকে রাখার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বন্দর থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী। তিনি বলেন, নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে শনিবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *