প্রদীপ শীল রাউজান প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০১৯-০৯-১৭ ১৯:৪৪:৫৭ || আপডেট: ২০১৯-০৯-১৭ ১৯:৪৫:০৬
প্রদীপ শীল, রাউজান :
রাউজান উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে ঘিরে প্রাণ সঞ্চার ঘটেছে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে। পদ প্রত্যাশীদের পদভারে পুরো উপজেলায় যেন উৎসবের আমেজ। সদর উপজেলায় অবস্থিত মুন্সিরঘাটাস্থ নিজস্ব দলীয় কার্যালয়ে প্রায় প্রতিদিন চলছে প্রস্তুতি মূলক সভা। সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটি ও বিভিন্ন উপ-কমিটির নেতারা নিত্য নতুন সিন্ধান্ত নিয়ে সম্মেলনকে জাতীয় মানের করার প্রস্তুতি নিয়েছে। সম্মেলনে প্রায় দশ হাজার নেতাকর্মীর বসার আসন ঠিক করা হয়েছে। সম্মেলন মঞ্চ ছাড়াও আলাদা আলাদা ভাবে তৈরী করা হয়েছে আমন্ত্রিত পর্যবেক্ষক মঞ্চ, অতিথি মঞ্চ, ডেলিকেট ও কাউন্সিলর মঞ্চ, মনিটিরিং মঞ্চ, সাংবাদিক মঞ্চ। রাউজান সরকারী বিশ^বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হবে রাউজানের রাজনীতির নেতৃত্ব নির্ধারণের মহা এই সম্মেলন। ইতিমধ্যে সম্মেলন স্থল ও উপজেলার দুই মহা-সড়ক সেজেছে নবরূপে। চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়ক ও চট্টগ্রাম- কাপ্তাই সড়কের রাউজান অংশের ত্রিশ কিলোমিটার সড়ক পাশকে সাজানো হয়েছে বিভিন্ন রং এর ফ্যালেগ, ফেষ্টুন, তোরণ ও ব্যানার দিয়ে। সড়কের দু’পাশ ক্লিন করা হয়েছে গ্রীণ রাউজানের প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তোলার লক্ষে। রাউজান বিশ^বিদ্যালয়ের চর্তুদিকে এবং সম্মেলন স্থল সার্বক্ষনিক মনিটরিং করা হবে সিসি ক্যামেরা দ্বারা। উপজেলা ছাত্রলীগের একটি সেচ্ছাসেবক দল সার্বক্ষণিক শৃংঙ্খলার দায়িত্ব নিয়োজিত থাকবে। ১৭ সেপ্টম্বর মঙ্গলবার বিকালে সম্মেলন স্থল পরিদর্শন করেন রেলপথ মন্ত্রানালয় সর্ম্পকীত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি। এসময় তিনি সম্মেলনকে সফল করতে বিভিন্ন দিক নিদের্শনা দিয়েছে দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতাদের। সর্তক করা হয়েছে শৃংঙ্খলা বজায় রেখে সম্মেলনের মাধ্যমে রাউজানের রাজনীতির আরো একটি ইতিহাস সৃষ্টি জন্য। জানা যায়, আগামী ২১ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা। এই সম্মেলনে র্শীষ পদে অনেকেরই নাম শুনা গেলেও শেষ মুর্হুতে চার জনের নাম শুনা যাচ্ছে সবচেয়ে বেশি। এই চারজনের একজন সভাপতি হিসাবে অনেকটা নিশ্চিত। বাকি তিন জনের মধ্যে থেকে সাধারণ সম্পাদক আসার সম্ভাবনা বেশি। সভাপতিপদে নোয়াপাড়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসার কফিল উদ্দিন অনেকটা নিশ্চিত বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। অপর দিকে সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ ও উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্য নিবার্হী সদস্য সাইফুল ইসলাম চৌধুরী রানা নাম নেতাকর্মীদেও মূখে মূথে শুনা যাচ্ছে। রাজনীতিতে এই তিন নেতার রয়েছে ত্যাগ ও শ্রম। আওয়ামী রাজনীনিতে তারা বার বার নির্যতনের শিকার হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে জোট সরকারের আমলে হয়েছে মিথ্যা মামলার পাহাড়। শত প্রতিকূলতা অতিক্রম করে ছাত্র নেতৃত্ব দিয়েছেন রাউজানের রাজনীতিতে। পরবর্তীতে তিনজনেই রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে দীর্ঘ সময় আন্দোলন সংগ্রামের সারথি হিসাবে কাজ করেছেন। যদি কোন ব্যাতিক্রম না ঘটে এখান থেকে সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে একজন আসবে বলে মনে করেন দলীয় নেতাকর্মীরা।