রফিকুল আলম ফটিকছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০১৯-০৯-২৪ ১৩:৩৫:০২ || আপডেট: ২০১৯-০৯-২৪ ১৩:৩৫:১৫
রফিকুল আলম, ফটিকছড়ি :
চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -২ এর ফটিকছড়ি জোনাল অফিসের আওতাধীন শত শত বিদ্যুৎ গ্রাহক এক শ্রেণীর দালালের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। দালালরা নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের গ্রাহক থেকে দু’ ভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
প্রথমে লাইন নির্মণের সময় ও মিটার সংযোগের সময়ে। গত ৮ মাসে প্রায় ৭ হাজারের উপরে নতুন গ্রাহকের মিটার সংযোগ ও বিনা মূল্যে সরকারী ভাবে শত কিলোমিটারে উর্ধে নতুন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এসব থেকে দালালরা কি পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে; তা তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন।
এসব দালালরা কেন প্রতিনিয়ত পল্লী বিদুৎ অফিসে যায়; তা পল্লী বিদ্যুত সমিতির সি সি ক্যামরার ফুটেজ দেখলে থলের বিড়াল বের হয়ে আসবে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বর্তমান সরকার বিনা মূল্যে প্রতিটি পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের লক্ষ্যে পল্লী বিদ্যুতের সার্ভেযার টিম এলাকা ভিত্তিক মাষ্টার প্লেন তৈরী করে। পরবর্তীতে দরপত্রের আহব্বান করে। দরপত্রে যে ঠিকাদার কাজ পায়; তার নিকট থেকে বা যে কোন উপায়ে এক শ্রেনীর দালাল মাষ্টার প্লেনের কাজের তালিকা বের করে। আবার এসব দালালরা নিয়মিত চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ (রাউজান) অবস্থান নিয়ে থাকে। দালালরা তালিকা মতে এলাকা পরিদর্শন করে। পরিদর্শনে গিয়ে কোন বাড়ী বা বসত ঘর অনুমোদন হয়েছে ,তা দেখে দালালরা দ্রুত বিদ্যুৎ দিবে বলে গ্রাহক হতে ৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয়। দালালরা এলাকায় গ্রাহকের সাথে কথা বলে সরাসরি টাকা আদায় করতে সমস্যা হলে এলাকা থেকে ও কয়েকজন অংশীদার সাথে নেয়। যাকে পরে সামান্য টাকা দিতে হয়। দালালদের এসব কাজ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অগোচরে থেকে যায়। পরে বিনা খরচে সরকারী ভাবে গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার পর যখন জানতে পারে প্রতারিত হয়েছে। তখন গ্রাহক অসহায় হয়ে পরে।
এদিকে মাষ্টার প্লেনের আওতায় গ্রাহককে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেবার সময় ১ পয়েন্ট ওয়ারিং করতে হয় পল্লী বিদ্যুতের ইলেকট্রেশিয়ান দিয়ে। অর্থাৎ লোহার রড,মিটার বোর্ড,মেইন সুইচ সহ বোর্ড,তার লাগানোর জন্য ১ হাজার টাকা । আর মিটার ৪ শত টাকা ও সদস্য ফি বাবৎ ৫০ টাকা খরচ হয়। আবার যাদের মাষ্টার প্লেনে নাম নেই তাদের অনলআইনে আবেদন করতে হলে আরো ২ শত টাকা অতিরিক্ত লাগে।
এতে মিটার সহ এক জন গ্রাহক বিদ্যুৎ পেতে খরচ হয় সাড়ে ১ হাজার ৪ শত ৫০ টাকা বা সাড়ে ১হাজার ৬ শত ৫০ টাকা। কিন্তু সেখানে মিটার সংযোগ প্রদানের জন্য দালালরা গ্রাহক হতে আদায় করে আসছে ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত।
এদিকে ফটিকছড়ি সদর জোনাল অফিসের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডি জি এম মো: আবুল কালামের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যুতের গ্রাহকরা বিনা রশিদে কাউকে টাকা দেবেন কেন। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে মাইকিং ও কি ভাবে মিটার সংযোগ পাবে সে জন্য প্রচার পত্র বিলি করা হয়েছে; তবু দালালদের খপ্পরে পড়বে কেন। দালালদের খপ্পরে পরার বিষয়টি যেহেতু লোক মুখে শুনেছি ; তা তদন্ত করে দেখা হবে।