খলিল চৌধুরী সৌদি আরব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০১৯-১০-০১ ২১:০৩:৩৬ || আপডেট: ২০১৯-১০-০১ ২১:০৩:৪৩
খলিল চৌধুরী, সৌদি আরব প্রতিনিধি :
সৌদি আরবে গত এক মাসে স্বদেশীর হাতে ৪ বাংলাদেশি খুন হয়েছে। সৌদির দাম্মাম, মক্কা, আল কারিছ ও সর্বশেষ নাজেরানের এ সব ঘটনায় উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তারা। জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের হেড অব চ্যান্সারি ও প্রথম সচিব মোস্তফা জামিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত এক বার্তায় সেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
সৌদি আরবে হত্যার বদলে হত্যা অর্থাৎ নিশ্চিত মৃত্যুদন্ডের কঠিন শাস্তির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি সর্বাবস্থায় সহনশীলতা প্রদর্শনের অনুরোধ জানান তিনি। পররাষ্ট্র ক্যডারের মেধাবী ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ওই কর্মকর্তা বাংলাদেশিদের হাতে একের পর এক বাংলাদেশি খুনের মত গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে সৌদি আরবে দেশের সাধারণ এবং নিরপরাধ মানুষদের ভিসায় কড়াকড়ি আসতে পারে বলেও সতর্ক করেন।
ফেসবুক পোস্টে তার বার্তাটি এ রকম- বাংলাদেশিদের শেষ করার জন্য পৃথিবীর সর্বত্র বাংলাদেশিরাই যথেষ্ট। গত এক মাসে সৌদি আরবে চারজন বাংলাদেশি অন্য বাংলাদেশিদের হাতে খুন হয়েছেন।
এক মাসে প্রথম ব্যক্তিকে আবুল কাসেম’কে কেবাকারা মেরে ফেলে রেখে যান। দ্বিতীয় ব্যক্তি খুন হলেন আরেক বাংলাদেশির লাঠির আঘাতে। তিতীয়জনকে জবাই করলেন তারই রুমমেট অপর দুই বাংলাদেশি। তা-ও শুধুমাত্র কে আগে বাথরুমে যাবেন- তা নিয়ে ঝগড়ার রেশ ধরে।
গত ১-সেপ্টেম্বর মক্কা ওয়াদি রেহেজানে গাছের লাঠির আঘাতে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা চরম্বার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন-(৪৪)।
গত ১৯-সেপ্টেম্বর আল কারিছ শহরে ছুরিকাঘাত কুমিলার বাঞ্চরামপুর উপজেলা হোমনা ইউনিয়নে মুহাম্মদ মহিউদ্দিন-(২৬)। সর্বশেষ আজ (২৮ সেপ্টেম্বর ) নাজরানে ছুরিকাঘাতে খুন হলেন জুনায়েদ নামক এক বাংলাদেশি আরেক বাংলাদেশিরই হাতে।
জামিল লিখেন- “ভাই কেউ কি নিজের দেশে অন্য কোন বিদেশি জাতির এ ধরনের ক্রমাগত খুনাখুনি সহ্য করবে? আমাদের দেশে যদি অন্য কোন জাতি একমাসে তিনজন স্ব-জাতিকে হত্যা করতো, তাহলে আমাদের প্রতিক্রিয়া কি হতো? এসব হত্যাকান্ডের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশিদের ভিসা যদি সৌদি সরকার বন্ধ করে দেয়- তবে কি খুব বেশি দোষের কিছু হবে? আমরা দুই-একজন কিভাবে সম্পূর্ণ একটা দেশ, একটা জাতিকে বিপদে ফেলছি!
প্রবাসে আরেকটু বেশি সহনশীল হবার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ রইল। এ দেশে মানুষ খুন করার শাস্তি নিশ্চিত মৃত্যুদন্ড।