শফকত হোসাইন চাটগামী বাঁশখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০১৯-১০-০৩ ২২:৫৩:৩৪ || আপডেট: ২০১৯-১০-০৩ ২২:৫৩:৪৩
বাঁশখালী প্রতিনিধি :
বাঁশখালী পৌরশহরের জলদী গ্রীণপার্ক কমিউনিটি সেন্টারের সামনে গত মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম পটিয়া আনোয়ারা বাঁশখালী সাতকানিয়া চকরিয়া সড়ক যানবাহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জয়নাল আবেদীনের উপর হামলা হয়েছে।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রথমে পেকুয়ায় বাঁশখালীর একজন শ্রমিকের উপর সানলাইন সার্ভিসের স্টাফ ও লাইন ম্যান কর্তৃক হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আপোষ মীমাংসা করতে চাওয়ার অভিযোগে শ্রমিক সভাপতি জয়নাল আবেদীনের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। জয়নাল আবেদীন চেচুরিয়া এলাকার হাশেম আলীর পুত্র। আহত জয়নাল আবেদীনকে প্রথমে বাঁশখালী হাসপাতাল ও পরে আশংকাজনক অবস্থায় চমেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাঁশখালীর বাস শ্রমিকদের মাঝে তীব্র উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, গত সোমবার দুপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মো. বাদশা নামে বাঁশখালীর এক বাস শ্রমিকের উপর পেকুয়া এলাকায় সানলাইন সার্ভিসের স্টাফ ও লাইন ম্যানরা হামলা চালায়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত আপোষ মীমাংসার চেষ্টা ও বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সানলাইন কর্তৃপক্ষ শেষ পর্যন্ত বৈঠকে না আসায় বাঁশখালীর শ্রমিকদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তারা মঙ্গলবার সকালে সানলাইনের বাস সার্ভিস বাঁশখালী সড়কে আটকে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
এদিকে বাঁশখালীর শ্রমিকদের এই উত্তেজনার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে সানলাইন কর্তৃপক্ষ থানা পুলিশের সহায়তায় মঙ্গলবার সকালে আবারো বৈঠকের প্রস্তাব দেয়। ওই বৈঠকে বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জয়নাল আবেদীন ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ছিদ্দিক আহমদসহ সিনিয়র নেতাদের থাকার কথা ছিল। কিন্তু পেকুয়ায় হামলার শিকার শ্রমিকরা ওই বৈঠক প্রত্যাখান করে। এই নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পেকুয়ায় হামলার শিকার সেই বাস চালক বাদশার নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন শ্রমিক খোদ তাদের সভাপতি জয়নাল আবেদীনের উপর চড়াও হয়।
এ সময় তাকে বেধড়ক মারধর করে। অন্যান্য সহকর্মী শ্রমিকরা যানবাহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জয়নাল আবেদীনকে উদ্ধার করে প্রথমে বাঁশখালী ও পরে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করে। যানবাহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ছিদ্দিক আহমদ জানান, আমাদের একজন শ্রমিকের উপর পেকুয়ায় সানলাইনের স্টাফ ও লাইন ম্যানরা মারধর করে। আমরা বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চালিয়েছি। কিন্তু সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত দফায় দফায় সিডিউল দিয়ে সানলাইন কর্তৃপক্ষ বৈঠকে আসেনি। এরপর মঙ্গলবার সকালে বাঁশখালীর বাস শ্রমিকরা সানলাইন বাস সার্ভিস আটকে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে সানলাইন কর্তৃপক্ষ থানা পুলিশের সহায়তায় আবারো বৈঠকের প্রস্তাব দেয়। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে প্রশাসনের উদ্যোগের ওই বৈঠক মেনে নিলেও কয়েকজন শ্রমিক সিদ্ধান্ত না মেনে সভাপতির ওপর হামলা করে।
তিনি জানান, সভাপতির অবস্থা এখনো শঙ্কামুক্ত নয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার উন্নত চিকিৎসা চলছে। বাঁশখালী সড়ক দিয়ে সানলাইন যাতায়াত করায় বাস মালিক সমিতি শ্রমিকদের উপর আগে থেকেই ক্ষুব্ধ ছিল। বাঁশখালী বাস মালিক সমিতির ইন্ধনেই এ হামলা হয়েছে বলে শ্রমিকরা মনে করেন। এ বিষয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।