মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০১৯-১০-১৯ ২২:০০:১০ || আপডেট: ২০১৯-১০-১৯ ২২:০০:১৭
মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কুঃ
বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ এসোসিয়েশন (ফারিয়া)
এর কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসাবে নাইক্ষ্যংছড়িতে বিশাল মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে সংগঠনটির নেতা কর্মীরা। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ ও হাসপাতালের সামনে সরকারি নতুন বেতন স্কেল অনুযায়ী ৭ম গ্রেড সমপরিমাণ বেতন নির্ধারণসহ পাঁচ দফা দাবি করে পৃথক ভাবে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
দাবি গুলো হলো -বর্তমান মূল্যস্ফীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে টিএ ডিএ প্রদান, চাকুরির নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা বিধানসহ একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন, ফারিয়াকে সরকারি স্বীকৃতি প্রদান ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ সকল জাতীয় ছুটি ভোগের বিধান রাখা।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় ফারিয়া নাইক্ষ্যংছড়ি সদর শাখার সভাপতি মোঃ ইউনুছের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা বলেন,ওষুধ কোম্পানিগুলো তাদেরকে যেনতেনভাবে ব্যবহার করলেও উপযুক্ত পারিশ্রমিক দেয় না। বরং কথায় কথায় ছাঁটাই করে। বছরের পর বছর চাকুরি করেও পদোন্নতি পায়না সিংহভাগ কর্মকর্তা। মাসিক টার্গেট পূরণে ব্যর্থ হলে বেতন থেকে টাকা কেটে নেয় অনেক কোম্পানি। যে কারণে অনেককে শূন্য পকেটে মাস শেষে বাড়ি ফিরতে হয়।
সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন-ফারিয়ার নাইক্ষ্যংছড়ি শাখার প্রধান উপদেষ্টা মুঈনুদ্দীন সোহেল, উপদেষ্টা নুরুল ইসলাম,সহ সভাপতি নুরুল আক্তার,সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান,আবু ছিদ্দীক মানিক,নুরুল হাকিম,দেলোয়ার হোসেন,মোঃ শাহিন সরওয়ার, মোঃ আইয়ুব,সুনান দাশ, রমিজ উদ্দিন,লিটন দত্ত,নুরুল আবছার,ইমাম হোসেন,এম এম সোহাইল সবুজ,ফরিদুল ইসলাম,আমজাদ হোসেন,জামাল মোড়ল, দেলোয়ার, ইউসুপ প্রমুখ।
আলম খন্দকার মহিবুল হাসান, মুন্না দেব, হেলাল উদ্দিন প্রমুখ। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ও রামুর গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়ার কর্মরত বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে এ মানববন্ধনে স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ওইসব প্ল্যাকার্ডে লেখা হয়েছে, ৪-পিসহ সব ধরনের এনজিও সার্ভে এবং প্রেসক্রিপশনের অনৈতিক ছবি তোলা বন্ধ করা,বেতনের যুক্তিসঙ্গত একটি নূন্যতম সীমা নির্ধারণ, সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে ভিজিট সীমাবদ্ধতা উঠিয়ে দেয়া, ‘প্রতিটি কোম্পানিতে প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুয়িটি চালু,প্রত্যেক প্রতিনিধির জন্য ইন্সুরেন্স পলিসি করা, ব্যাংক চেক বা মূল সনদ জমা না নেয়া,সেলস ও মার্কেটিং বিভাগ আলাদা করা,প্রতিটি কোম্পানিতে উৎসব বোনাস চালুর দাবী করা হয়।
মানববন্ধন ও সমাবেশ শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।