চট্টগ্রাম, , সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

admin

টেকনাফে অপহরনের ৪০ ঘন্টা পরও উদ্ধার হয়নি ২ স্কুল ছাত্রী : রোহিঙ্গা ডাকাতের মুক্তিপন দাবী

প্রকাশ: ২০১৯-১০-২২ ২১:০৭:৪২ || আপডেট: ২০১৯-১০-২২ ২১:০৭:৪৯

                              

আবদুল্লাহ মনির,টেকনাফ :

টেকনাফে গহীন পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা শীর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত আব্দুল হাকিম ও তার সহযোগী ডাকাত দলের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও নানা প্রকার অপরাধ প্রবনতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তথ্য সুত্রে দেখা যায় ডাকাতি,অপহরন,মানুষ হত্যাসহ এমন কোন অপরাধ নেই যা তা সংঘটিত করছেনা! এই রোহিঙ্গা ডাকাত দলের সদস্যরা গহীন পাহাড়ে আস্তানা করে প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সংঘটিত করার কারনে ভয়ে আর আতংকে দিন কাটাচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যা¤প সংলগ্ন স্থানীয় জনগন।

এদিকে গত ২০ অক্টোবর ভোর রাত আড়াইটার দিকে শীর্ষ রোহিঙ্গা হাকিম ডাকাতের নেতৃত্বে একদল ডাকাত টেকনাফ উপকুলীয় ইউনিয়ন বাহাছড়া শীলখালী মাঠপাড়া এলাকার ‘হেডম্যান’ আবুল কালামের বসত বাড়ীর দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে স্বর্ন-অলংকার নগদ টাকা লুট করার পর এবং স্কুল পড়–য়া দুই কিশোরি মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অথচ অপহরনের দীর্ঘ ৪০ ঘন্টা অতিবাহিত হয়ে গেলেও স্কুল পড়–য়া দুই কিশোকীকে এখনো উদ্ধার করতে পারেনি স্থানীয় প্রশাস তবে অপহরন হওয়া দুই মেয়েকে উদ্ধার করার জন্য টেকনাফ থানা ও বাহারছড়া ফাঁড়ির কর্মরত পুলিশ সদস্যদের সাঁড়াশী অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

এব্যাপারে অপহরন হয়ে যাওয়া দুই কিশোরীর আপন বড় ভাই শামলাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্র মোঃ রেদুয়ান দুঃখ প্রকাশ করে বলেন,গত ২০ অক্টোবর ভোর রাত ৩টার দিকে রোহিঙ্গা ডাকাত দলের সদস্যরা ৬ষ্ট শ্রেনীতে পড়–য়া আমার দুই বোন লাকি (১২) ও তসলিম (১৪) কে অপহরন করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তারা ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী করে আসছে।তাদের দাবী মেনে নিলে দুই বোনকে ছেড়ে দিবে। রেদুয়ান আরো জানান, রোহিঙ্গা ডাকাত দলের হাতে জিম্মী হয়ে থাকা আমার দুই বোনকে উদ্ধার করার জন্য স্থানীয় পুলিশ সদস্যরা আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এব্যাপারে টেকনাফ বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তদন্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন,ডাকাত দলের হাতে অপহরন হওয়া দুই কিশোরীকে উদ্ধার করার জন্য বিভিন্ন কৌশল হাতে নেওয়া হয়েছে।আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে স্থানীয় জনগনের সহযোগীতা পেলে খুব শীঘ্রই দুই কিশোরী অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে আমরা সক্ষম হবো।
তিনি আরো জানান,২২ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধায় অপহরন হওয়া দুই কিশোরীর পিতা আবুল কালাম বাদী হয়ে রোহিঙ্গা ডাকাত আব্দুল হাকিমকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা রুজু করেছে।

উল্লেখ্যঃ-শীর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত ‘আব্দুল হাকিম’ গত কয়েক বছরে টেকনাফ উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় মাদক,মানব পাচার,অপহরন, মানুষ হত্যাসহ নানা প্রকার অপরাধ সংঘটিত করে আসছে।তাকে আটক করার জন্য স্থানীয় আইন-শৃংখলা বাহীনির সদস্যরা বেশ কয়েকবার সাঁড়াশী অভিযান চালিয়েছে।এবং বন্দুকযুদ্ধে তার আপন ভাই স্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন চিহ্নিত ডাকাত নিহত হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *