admin
প্রকাশ: ২০১৯-১০-২৫ ২২:১৯:২০ || আপডেট: ২০১৯-১০-২৫ ২২:১৯:২৮
আবদুল্লাহ মনির,টেকনাফ :
রোহিঙ্গা ক্যাপ ঘিরে সক্রিয় ডাকাতের সংঘবদ্ধ দল রয়েছে। ডাকাতি ছাড়াও তারা অপহরণ, ধর্ষণ, ছিনতাই, মাদক কারবারে জড়িত। এসব দলের মূলহোতা রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিম। এ হাকিমসহ তাদের মূল আস্তানা হচ্ছে, ক্যা¤পসংলগ্ন পাহাড়ি এলকায়।
তারই সুত্রে ধরেই শুক্রবার সকাল ৭ টায় থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়া টইগ্যা পাহাড়সহ বেশ কয়েকটি দূর্ঘম পাহাড়ে অভিযান চালায় র্যাব-১৫। এসময় ড্রোন
ওড়িয়ে বিভিন্ন পাহাড়ে ডাকাতদের আস্তানার তথ্য সংগ্রহ করেন। পরে পাহাড়ে ডাকাদের কয়েকটি স্থানেও অভিযান চালানো হয়। এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান তারা। তবে ডাকাতদের আস্তানার কিছু নানান তথ্যর সন্ধান পান। তবে তদন্তের স্বার্থে এসব তথ্য এখন বলা যাচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন অভিযান পরিচালনাকারির প্রধান
র্যাব-১৫ অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ। এই অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন, র্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর রবিউল হাসান, সিপিএসসি কো¤পানী কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান, সিপিএসসি স্কোয়াড কমান্ডার এডিশনাল এসপি বিমান চন্দ্র কর্মকার, সিপিসি-১ কো¤পানী কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মির্জা শাহেদ মাহতাব (এক্স), বিএন, সিপিসি-২ কো¤পানী কমান্ডার এএসপি শাহ আলমস অনেকে।
র্যাবের ভাষ্য মতে, ক্যা¤প সংলগ্ন পাহাড়ে ডাকাদের সক্রিয় সদস্যরা সাধারণ রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের জিম্মি করে প্রায়ই লুটপাট চালায়। এ ছাড়া ডাকাত দলের কোনো কোনো সদস্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর পরিচয়ে রোহিঙ্গাদের বাসায় ঢুকে মালপত্র লুট ও অপহরনের অভিযোগ রয়েছে। ক্যা¤েপর ভেতর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও হামলা চালানো হয়। এই প্রথম ড্রোন ওড়িয়ে র্যাব-১৫ অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদের নেতৃত্বে র্যবের টিম বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে ক্যা¤প সংলগ্ন বাহারছড়া টইগ্যা পাহাড়সহ কয়েকটি পাহাড়ে অভিযান চালানো হয়।
এসময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে ড্রোনের ওড়িয়ে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে ডাকাত দলের । তা নিয়ে কাজ করছে র্যাব। এছাড়া সম্প্রতি সময়ে গত ২০ অক্টোবর রাতে টেকনাফ বাহাছড়া শীলখালী মাঠপাড়া এলাকার হেডম্যান’ আবুল কালামের বসত বাড়ীর দরজা ভেঙ্গে স্কুল ছাত্রী লাকি (১২) ও তসলিমা(১৪) দুই কিশোরী মেয়েকে অপহরণ করে গহীন পাহাড়ে নিয়ে যায়। পরে দুই দিন পর উদ্ধার করা হয়েছিল।
অভিযান শেষে র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ বলেন,এই পাহাড়ি এলাকায় বর্তমানে রোহিঙ্গা হাকিম বাহিনীর অবস্থানের খবর রয়েছে। তারা পাহাড়ি এলাকায় আস্তানায় গড়ে তুলে অপহরন, খুন ও ধর্ষনের মত অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। এই হাকিম বাহিনীর গ্রুপকে ধরার জন্য পাহাড়ে প্রাথমিক ভাবে আমরা অভিযান পরিচালনা করলাম। তিনি বলেন, এবার সর্ব প্রথম র্যাব হেড কোয়ার্টার থেকে ড্রোন এনে পাহাড়ি ড্রোনের ওড়িয়ে তাদের আস্তানার খুজার চেষ্টা করা করেছি। কোন সন্ত্রাসী বাহিনীকে ছাড় দেওয়া হবেনা উল্লেখ করে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রয়োজনে দূর্ঘম পাহাড়ি এলাকায় র্যাব হেলিকপ্টারের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করবে।