চট্টগ্রাম, , রোববার, ৫ মে ২০২৪

শংকর চৌধুরী খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি

খাগড়াছড়িতে আগুনে ১০ পরিবারের সর্বস্ব ছাই

প্রকাশ: ২০১৯-১১-০২ ১৬:১৫:২১ || আপডেট: ২০১৯-১১-০২ ১৬:১৭:৪৯


শংকর চৌধুরী, খাগড়াছড়ি :

পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে আগুনে পুড়ে ১০ পরিবারের সর্বস্ব ছাই হয়ে গেছে। এছাড়াও আশপাশের বেশ কিছু ঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

শনিবার ০২ নভেম্বর সকাল ১০ টারদিকে শহরের মেহেদীবাগ এলাকায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এটি ভান্ডারির বস্তি নামেও পরিচিত। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। পরিবার গুলোর পরনের কাপড় ছাড়া সবই পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি সদর জোনের সদস্যরা এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন মাস্টার মো: আব্দুল কাদের বলেন, বিদ্যুৎ এর শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। কাঁচা টিনের ঘর হওয়ায় তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। একই সাথে লাগুয়া প্রায় ৮ থেকে ১০টি ঘর পুড়ে গেছে। এছাড়াও আরো ৫-৭টি ঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে, এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

ক্ষতিগ্রস্ত ছাবরিনা বেগম বলেন, ছেলেকে টিভি দেখতে দিয়ে থালাবাসন পরিস্কার করছিলাম, হঠাৎ সে আগুন বলে চিৎকার করলে এসে দেখি বিদ্যুৎ এর তার থেকে ঘরের ছাদে আগুন লেগে গেছে। মুহূর্তের মধ্যে পুরো বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ছেলেকে জরিয়ে ধরে প্রাণ নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসি, কিছুই আর বের করতে পারেনি। টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, চাল-ডাল, আসবাবপত্রসহ সবই পুড়ে গেছে। এখন পরনের কাপড় ছাড়া তাদের আর কিছুই নেই।

খাগড়াছড়ি পৌর সভার ট্রাক ড্রাইভার মো: বদিউল আলম বলেন, স্বপরিবারে বসবাস করার পাশাপাশি ৪টি রুম ভাড়া দিয়েছি। পরিবার গুলো খুবই গরিব কেউ দিনমজুর। এক ভাড়াটিয়ার নতুন কাপড়ের গোডাউন ছিল ঘরে। আমারতো টিভি, ফ্রিজ, স্বর্ণালংকার, টাকা-পয়সা, আসবাবপত্রসহ সবই পুড়ে গেছে। এখন পরনের কাপড় ছাড়া আর কিছুই নেই। ক্ষতির পরিমানটা এখন বলতে পারছি না। তবে সবমিলিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান অর্ধকোটি টাকার বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পৌর সভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও পেনেল মেয়র পরিমল দেবনাথ বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে ফোন করি এবং মালামাল উদ্ধার ও আগুন নেভাতে পরিচিত যেখানে যাকে পেয়েছে ডেকে নিয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। আগুনে পুড়ে যাওয়া এবং আশপাশে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলো খুবই গরিব। তায় সরকারি-বেসরকারি ভাবে আর্থিক অনুদান প্রদান করার দাবি জানিয়ে অসোহায় পরিবার গুলোর পাশে দাড়িয়ে সাহার্যের হাত বাড়াতে সকলের প্রতি তিনি অনুরোধ জানান।

বাড়ির মালিক বদিউল আলম পৌর সভায় কর্মরত ট্রাক ড্রাইভার হলেও তার বস্তিতে ভাড়ায় থাকা কেউ ফেরি করে কাপড় ব্যবসা করে কেউ দিনমজুর আবার কেউ রিকশা ও ভ্যান চালান। আগুনে পুড়ে যাওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত সবায় খুবই গরিব। দিনের আলোতেই আগুনে পুড়ে তাদের সর্বস্ব ছাই হয়ে গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *