চট্টগ্রাম, , সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

admin

মিয়ানমার থেকে অব্যাহত পেঁয়াজ আমদানির পরও দাম বাড়ছে

প্রকাশ: ২০১৯-১১-১৫ ২১:৪১:১০ || আপডেট: ২০১৯-১১-১৫ ২১:৪১:১৮


আব্দুল্লাহ মনির, টেকনাফ :
কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে মিয়ানমার থেকে বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হলেও বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ পরবর্তী আচমকা বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। তবে ব্যবসায়ীরা আমদানি কম হচ্ছে এমনটি দাবি করলেও স্থলবন্দর শুল্ক বিভাগের দেয়া তথ্যে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে স্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়।

টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক বিভাগ জানায়, চলতি ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে টেকনাফ বন্দর দিয়ে ১১ হাজার ৫৩২ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এ হিসেবে দৈনিক গড়ে ৭৬৮ দশমিক ৮ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। গত অক্টোবর মাসে এ বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল ২০ হাজার ৮৪৩ মেট্রিকটন, যেখান দৈনিক গড় আমদানির পরিমাণ ছিল ৬৯৪ দশমিক ৭৭ মেট্রিক টন।

গতমাসের তুলনায় দৈনিক গড়ে পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ বাড়লেও বাজারে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে ব্যবসায়ীদের কারসাজিকে দায়ী করছেন অনেকে। তবে টেকনাফের স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কম হলেও জেলার অন্যান্য উপজেলাতে আগের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।

টেকনাফ বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের দাম ২০০ টাকা কেজি অতিক্রম করার পরও আমরা ১৩০ টাকা থেকে ১৪০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করছি। অতিরিক্ত মুনাফাভোগের আশায় আমরা অহেতুক পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছিনা। তবে এর আগে আরো কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারায় দামও কম রাখা সম্ভব হয়েছিল।

টেকনাফ স্থলবন্দর কতৃপক্ষ ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের ব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বন্দরে মাত্র একদিন পেঁয়াজ আসা বন্ধ ছিল। এছাড়া অন্যান্য দিন পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক ছিল। এখনো আগের মতো মিয়ানমার থেকে বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করছেন আমদানিকারকরা। আমরা আমদানিকৃত পেঁয়াজ দ্রুততম সময়ে খালাসে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি।

স্থলবন্দর শুল্ক কর্মকর্তা আবছার উদ্দীন বলেন, মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। পেঁয়াজ আমদানির এ ধারা অব্যাহত থাকলে এ মাসে গত অক্টোবরের চেয়ে বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *