চট্টগ্রাম, , শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

admin

চকরিয়ায় সড়ক বিভাগের অফিস ঘর ভেঙ্গে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ

প্রকাশ: ২০১৯-১১-২৫ ০০:০৭:৫৮ || আপডেট: ২০১৯-১১-২৫ ০০:০৮:০৫


আবদুল্লাহ আল শাকিব, চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক লাগোয়া চকরিয়া উপজেলার বানিয়ারছড়া স্টেশনে সড়ক বিভাগের পুরাতন অফিস ঘর ভেঙ্গে কোটি টাকার জমিতে অবৈধ বাণিজ্য স্থাপনা নির্মাণে মেতে উঠেছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র। ঘটনাটি জানতে পেরে সম্প্রতি সময়ে ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করেছেন চকরিয়া সড়ক উপ-বিভাগের লোকজন। ওইসময় ৩৫ বছর আগে নির্মিত পুরাতন অফিস ঘরটির অংশ বিশেষ থেকে অক্ষত অবস্থায় বিপুল পরিমাণ ইট উদ্ধার করেছে সড়ক বিভাগের লোকজন। উদ্ধারকৃত এসব ইটের গায়ে সড়ক বিভাগের ব্লক ও ইটগুলো তৈরীর সাল ১৯৮২ সাল লিপি রয়েছে। সেই হিসেবে ১৯৮২-৮৩ সালে বানিয়ারছড়া স্টেশনে সড়ক বিভাগের পুরাতন অফিসঘরটি নির্মিত হয় বলে দাবি করেছেন সড়ক বিভাগের লোকজন।

বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের চকরিয়া উপ-বিভাগের উপসহকারি প্রকৌশলী আবু আহসান মোহাম্মদ আজিজুল মোস্তাফা। তিনি বলেন, বানিয়ারছড়া স্টেশনে রাইচ মিল মালিক নুরুল আমিন চৌধুরী যে জায়গাটি দখলে নিয়ে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের চেষ্ঠা করছেন, সেটি আমাদের পুরাতন অফিসঘর ও স্টাফ কোর্য়াটার। প্রায় ৩৫বছর আগে সেটিতে আমাদের স্টাফরা থাকতো। কর্মকর্তারা সেখানে নিয়মিত অফিস করতো। পরবর্তীতে আমাদের অফিস কার্যক্রম চকরিয়া সদরে স্থাপিত হলে বানিয়ারছড়া স্টেশনের ওই অফিসটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। এরপর আমাদের অনুমতি সাপেক্ষে চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ অস্থায়ী ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করে।

তিনি বলেন, প্রায় তিনবছর আগে হাইওয়ে পুলিশ বানিয়ারছড়া স্টেশনের পুর্বপাশে নিজস্ব জমিতে স্থায়ী ভবনে চলে যান। বছর সময় ভবনটি পরিত্যক্ত থাকলেও সম্প্রতি সময়ে পাশের রাইস মিল মালিক নুরুল আমিন চৌধুরী কৌশলে ওই জায়গাটি দখলে নিয়েছে। ভেঙ্গে ফেলেছে পুলিশের পুরাতন বিল্ডিং ভবনটি। এখন সেখানে অবৈধভাবে বহুতল ভবন নির্মাণের চেষ্ঠা চালাচ্ছেন।

উপসহকারি প্রকৌশলী আজিজুল মোস্তাফা বলেন, ইতোমধ্যে অফিস থেকে স্টাফ পাঠিয়ে আমাদের ওই জমিতে কোন ধরণের স্থাপনা নির্মাণ না করতে অভিযুক্ত রাইচ মিল মালিক নুরুল আমিন চৌধুরীর লোকজনকে বারণ করা হয়েছে।

ঘটনাটি জানতে পেরে সম্প্রতি সময়ে ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করেছেন চকরিয়া সড়ক উপ-বিভাগের লোকজন। ওইসময় ৩৫বছর আগে নির্মিত পুরাতন অফিসঘরটির অংশবিশেষ থেকে অক্ষত অবস্থায় বিপুল পরিমাণ ইট উদ্ধার করেছে সড়ক বিভাগের লোকজন। তারপরও সেখানে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ করলে কক্সবাজারস্থ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বিষয়টি জানানো হবে। তার নির্দেশনার আলোকে পরবর্তী আইনী প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *