চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

admin

মিয়ানমার থেকে একমাসে রেকর্ড পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি

প্রকাশ: ২০১৯-১১-৩০ ২১:২১:০১ || আপডেট: ২০১৯-১১-৩০ ২১:২১:০৯

আব্দুল্লাহ মনির, টেকনাফ :

মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি আগের তুলনায় বেড়েছে। এ বন্দর দিয়ে গত অক্টোবর মাসের তুলনায় নভেম্বর মাসে ৭১৭ মেট্রিকটন পেঁয়াজ বেশি আমদানি হয়েছে। তবে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়লেও পেঁয়াজের বাজারে এখনো দাম কমেনি।

টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে গত মিয়ানমার থেকে গত নভেম্বর মাসে ২১ হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এর আগে অক্টোবর মাসে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল ২০ হাজার ৫৪৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এছাড়া সেপ্টেম্বর ও আগস্ট মাসে যথাক্রমে ৩ হাজার ৫৭৩ মেট্রিক টন ও ৮৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল।

টেকনাফ স্থল বন্দর শুল্ক কর্মকর্তা আবছার উদ্দীন জানান, মিয়ানমার থেকে নভেম্বর মাসে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক ছিল। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ব্যবসায়ীরা মুলত অক্টোবর থেকে পুরোদমে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করে। এই দুই মাসে ৪২ হাজার ৪০৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। তবে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা থাকায় আগামীতে আমদানি আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন।

পেঁয়াজ আমদানিকারকরা বলেন, মিয়ানমার থেকে আগের তুলনায় নভেম্বর মাসে ব্যবসায়ীরা বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানির চেষ্টা করেছে। এদেশে পেঁয়াজের সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে মিয়ানমারের ব্যবসায়ীরাও পেঁয়াজের দাম কিছুটা বাড়িয়ে দেওয়ায় এবং অন্যদিকে চাহিদার তুলনায় পণ্য উদ্ধৃত না থাকায় পেঁয়াজের দাম কমছেনা বলে মনে করি। তবে আমরা সব আমদানিকারক নিজেদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখতে।

অভিযোগ রয়েছে, মিয়ানমার থেকে গত দুই মাসে রেকর্ড পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হলেও দেশের অন্যান্য স্থানের মতোই স্থানীয় বাজারেও পেঁয়াজের দাম দিনদিন বেড়েই চলছে। মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হলেও বন্দরের তিন কিলোমিটার দূরত্বে পৌরবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। এছাড়া জেলার অন্যান্য উপজেলাতে পেঁয়াজের দাম আরো চড়া বলে জানা গেছে।

জানা যায়, মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ গুলো টেকনাফ স্থল বন্দরে খালাস হওয়ার পর ট্রাকভর্তি করে সেগুলো চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের আড়তে নিয়ে যায় ব্যবসায়ীরা। সেখান থেকে একাধিক হাত বদল হয়ে পেঁয়াজ সরবরাহ হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। মধ্যস্বত্ব্যভোগী ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের হাত বদলের সময়ই পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি করা হয় বলে জানা যায়।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সাইফ বলেন, পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখতে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি রোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং আমদানিকারকদের আরো বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ আমাদানিতে উদ্ধুদ্ধ করা হয়েছে।

সাধারণ ভোক্তাদের অভিযোগ, মিয়ানমার থেকে কম দামে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হলেও স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুইতে কমছেনা। মিয়ানমার থেকে যে পরিমান পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে তাতে পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা অতিক্রম করার কথা নয়। অথচ সে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ২০০ টাকার বেশি দামে। এছাড়া কোন কোন খুচরা দোকানে পেঁয়াজই মিলছেনা।

টেকনাফ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট এর ব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ দ্রুত খালাসে আমরা রাতদিন কাজ করে যাচ্ছি। দ্রুত সময়ে পেঁয়াজ খালাসে পর্যাপ্ত শ্রমিকও রয়েছে। আমদানিকারকরা কোন বাঁধা প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই তাদের পন্য সহজে খালাস করতে পারছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *