খলিল চৌধুরী সৌদি আরব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০২০-০১-১৪ ২৩:৪৬:০১ || আপডেট: ২০২০-০১-১৪ ২৩:৪৬:০৯
খলিল চৌধুরী, সৌদি আরব প্রতিনিধি :
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে প্রায় আড়াইশ কিলোমিটার দূরে মাজামা শহরের পাশ্বে দালালের হাত ধরে গত সাড়ে তিন মাস আগে ১২-বছর বয়সী পিপাশা নামে এক কিশোরী গৃহকর্মী হিসাবে সৌদিতে এসে দালাল-সহ আরো তিন বাংলাদেশি মিলে একটি রুমে গৃহবন্দী করে গত আড়াই মাস যাবত মেডিসিন খাওয়ে যোগসাজোশে গণধর্ষণ করেনন।
এমন নির্মম নির্যাতন ও গণধর্ষণ শিকার হয়ে বর্তমানে পিপাশা নামে এ কিশোরী সৌদি একটি হাসপাতালের বেটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে লড়ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগরের ১২ বছর বয়সী এক কিশোরী সৌদি আরবে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে সৌদির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
মৃত্যুর আগে বিচার দেখে যেতে চান পিপাশা নামে এ কিশোরী।
সাদ্দাম নামে দালালের মাধ্যমে জনি ওভারসিজ লাইসেন্স নাম্বার ১২২০, গত তিন মাস ১১ দিন আগে জীবিকার তাগিদে সৌদিতে আসা পিপাশা মৃত্যু শয্যায় মৃত্যুর আগে র্নিযাতন কারিদের বিচার দেখে যেতে চান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরের উপজেলার মাশাওড়া গ্রামের পিপাশা তার বাবার নাম হেফজু মিয়া। নির্যাতনের শিকার হবার অভিযোগ নিয়ে সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশি নারীদের ফেরত আসার ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে। সৌদি ফেরত নারী শ্রমিকদের কাছ থেকে নির্যাতনের এরকম বেশ কিছু কাহিনী প্রকাশিত হয়েছে ইতিমধ্যে।
তবে মাত্র ১২ বছর বয়সী পিপাশার মত এমন নির্মম নির্যাতনের ঘটনা হয়তো এই প্রথম।
নির্যাতন শিকার কিশোরী পিপাশা জানান, গত দু মাস যাবৎ একটি রুমে আটকে রেখে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে নির্যাতন করত কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশি। পিপাশা জানান একজন কে দেখলে চিনতে পারবে।
পিপাশা বর্তমানে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে ১৪৮ মাইল দুরে মাজমা শহরের র্পাশে তোমাইর জেনারেল হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
সৌদি আরবে বাংলাদেশ-রিয়াদ নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ সাথে এ ব্যাপারে জানান, তিনি বলেন এই কাজের সাথে যারা যারা জরিত তাদের অবশ্যই শাস্তি পেতেই হবে তিনি বলেন, দূতাবাস পিপাশার চিকিৎসা সহ সকল বিষয়ে পাশে থাকবে এবং সর্বাত্মক সহায়তা প্রধান করবে।
ঐ হসপিটালে কর্মরত বাংলাদেশী নার্স এর সাথে পিপাশার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা কান্নায় ভেংগে পরেন। তারা বলেন এমন ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মত না।
দেশে পিপাশার বাবার সাথে কথা হলে তিনি জানান যে ভিসার দালাল সাদ্দাম বলেন যে তার মেয়ে রোড একসিডেন্ট করে হাসপাতালে আছেন ঐ হসপিটালে কর্মগত এক বাংলাদেশীর মোবাইল দিয়ে ইমুতে দেশে পিপাশার বাবার কাছে কল দিলে পিপাশার বাবা সব সত্য জানতে পারেন বলে জানিয়েছেন।