চট্টগ্রাম, , রোববার, ৫ মে ২০২৪

এম মাঈন উদ্দিন মিরসরাই প্রতিনিধি

জননন্দিত নেতা ফজলুল হক বিএসসির ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী

প্রকাশ: ২০২০-০১-১৫ ০০:০০:২৮ || আপডেট: ২০২০-০১-১৫ ০০:০০:৩৬

মিরসরাই প্রতিনিধি :
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর জননন্দিত প্রবীণ নেতা সৈয়দ ফজলুল হক বিএসসির ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।

মরহুম সৈয়দ ফজলুল হক বিএসসি ১ নভেম্বর, ১৯২৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। তিনি যখন মাত্র ক্লাস ফাইভে পড়েন, তখন তাঁর পিতা সৈয়দ আহমেদ পরলোকগত হন। বাল্যকাল থেকেই সৈয়দ ফজলুল হক ছিলেন দৃঢ়চেতা, সাহসী, মেধাবী। সংসারে বিধবা মা, ভাই-বোনদের সঙ্গী করে জীবন-যুদ্ধে পদার্পণ করেন। প্রথম দিকে তিনি জায়গির থেকে মনের ভিতর সাহস ও একাগ্রতা নিয়ে লেখাপড়া চালিয়ে যান। চিটাগাং কলেজ থেকে ইন্টার-মিডিয়েট পরীক্ষা কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করে, ’৪৮ সালে ঢাকায় আসেন। তাঁর সমগ্র শিক্ষাজীবন ছিল খুবই কৃতিত্বপূর্ণ।

প্রয়াত এই মহাপুরুষ ছিলেন পাকিস্তান গণ-পরিষদের সদস্য। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ায় তাকে জেলে যেতে হয়েছিল। ছিলেন একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। ছয় দফা আন্দোলনসহ দেশের নানা আন্দোলন সংগ্রামের অগ্রগামী সৈনিক বিএসসি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। অত্যন্ত মেধাবী, ত্যাগী, নির্লোভ এ ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিরল দৃষ্টান্ত। পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিয়ে ওপারে গেছেন ২০ বছর।

সক্রিয় ছিলেন ’৫২-এর ভাষা আন্দোলনে। সান্নিধ্যে আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। বঙ্গবন্ধুও তাঁকে বিএসসি বলে ডাকতেন। বহুবার একসঙ্গে জেল খেটেছেন। তিনি পরপর দুবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় হওয়ার কারণে প্রথমবারের মতো কারাগারে অন্তরিন হয়েছিলেন।৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে গণপরিষদ ও জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।

জননন্দিত এই নেতা জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৮ সালের ১ নভেম্বর। তাঁর পিতা সৈয়দ আহাম্মদ মিয়ামমারের রেঙ্গুনে চাকরি করতেন এবং মা হোসনে আরা বেগম ছিলেন গৃহিণী। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। মিরসরাইয়ের আবুতোরাব বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৪৬ সালে তিনি মেট্টিক পাশ করেন। ১৯৪৮ সালে এইচএসসি পাশ করেন চট্টগ্রাম কলেজ থেকে।

এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক হওয়ার কারণে পাকিস্তান সরকার তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক করে। সেখানে বসেই তিনি বিএসসি পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেন।

সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের মতে, বিএসসি ছিলেন মিরসরাই আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা। নির্লোভ এ রাজনীতিবিদ ইচ্ছে করলে অনেক কিছু করতে পারতেন। কিন্তু তিনি ভোগের রাজনীতি করেননি। সত্যিকারের সুষ্ঠুধারার রাজনীতি করেছেন। অর্থ-বিত্তেও সমৃদ্ধ ছিলেন না। কিন্তু রাজনীতিতে মেধার প্রয়োগ ঘটাতেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *