চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

খলিল চৌধুরী সৌদি আরব প্রতিনিধি

সৌদি আরবে এবার স্বদেশীদের হাতে কিশোরী গৃহকর্মী গণধর্ষণের শিকার

প্রকাশ: ২০২০-০১-১৬ ১১:৫৭:২৫ || আপডেট: ২০২০-০১-১৬ ১১:৫৭:৩৩

খলিল চৌধুরী, সৌদি আরব প্রতিনিধি :

সৌদিতে এবার কিশোরী গৃহকর্মী গণধর্ষণের শিকার ! মেয়েটির বয়স মাত্র ১২। তবে এবার আর সৌদি গৃহকর্তা নয় আসামীরা হচ্ছে খোদ কিছু সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশী। সেই গৃহকর্মী এখন মারাত্মক আহত অবস্থায় রিয়াদের নিকটস্থ মাজমা তোমাইর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

সৌদিতে এবার কিশোরী
জানা যায় পাসপোর্টে বয়স বেশী বানিয়ে তাঁকে গৃহকর্মী ভিসায় সৌদি আরবে পাঠায় দালাল সাদ্দাম। যেই এজেন্সির মাধ্যমে তাঁকে পাঠানো হয় সেটির নাম জনি ওভারসিজ।

প্রায় ৩ মাস আগে বিপাশা সৌদি আরবে আসেন। এবং তাঁকে প্রায় আড়াই মাস যাবত একটি রুমে গৃহবন্দী করে ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করা হচ্ছিল। ধর্ষকদের সবাই সৌদি প্রবাসী বাঙ্গালি। বিপাশা জানান যে ১ জনকে দেখলে তিনি চিনতে পারবেন। মৃত্যুশয্যায় শুয়ে মেয়েটির এখন একটাই চাওয়া। ধর্ষকদের উপযুক্ত বিচার যেন তিনি দেখে যেতে পারেন।

ঐ হাসপাতালে কর্মরত একজন বাংলাদেশী নার্সের কাছে বিপাশার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি কান্নায় ভেংগে পড়েন। তিনি বলেন মেয়েটির সাথে যেই পাশবিক আচরন করা হয়েছে তা কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।

সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত মিডিয়াকে আশ্বস্ত করেন যে এই জঘন্য ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের প্রত্যেকের বিচার নিশ্চিত করা হবে।

বিপাশা ব্রাক্ষনবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরের পত্তন উপজেলার মাশাউড়া গ্রামের হেফজু মিয়ার মেয়ে। হেফজু মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন যে হাসপাতালের ক্লিনার ভিসার নাম করে সাদ্দাম তাঁর মেয়েকে সৌদি পাঠায়। বিপাশা হাসপাতালে ভর্তি হলে সাদ্দাম তাঁকে ফোনে জানায় যে তাঁর মেয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। কিন্তু ঐ হাসপাতালের এক বাংলাদেশী কর্মীর ফোন থেকে ইমোতে বিপাশা তাঁকে ফোন দিলে তিনি প্রকৃত ঘটনা জানতে পারেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে সৌদি আরব থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফিরা নারী কর্মীদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এসব নির্যাতন মূলত সৌদি মালিকপক্ষই চালিয়ে থাকে। তবে এবার প্রবাসী বাঙ্গালিদের হাতেই নির্যাতিত হওয়াটা পরিস্থিতি আরো খারাপ হচ্ছে সেইদিকেই ইংগিত দেয়।
.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *