চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

বেলাল আহমদ বিশেষ প্রতিনিধি

লামায় অবৈধ ৫ ইটভাটা গুড়িয়ে দিল ভ্রাম্যমাণ আদালত : কোনো ধরনের নিয়ম-নীতি না মেনে চলছে ৩২টি ইটভাটা

প্রকাশ: ২০২০-০১-২৪ ০১:১৯:৪৭ || আপডেট: ২০২০-০১-২৪ ০১:১৯:৫৬

বেলাল আহমদ :
বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নে ৫টি অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে সাড়ে ১১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। বান্দরবান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিট্রেট জাকির হোসেন অভিযানের নেতৃত্ব প্রদান করেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানয়ারী) দুপুরে উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পাগলিরছড়া এলাকায় এএসবি, এমএআর, ফোর বিএম, সিবিএম ও ওয়াই এস বি-এ অভিযান চালায় পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবান।

বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এএইচএম সামীউল আলম কুরসি বলেন, বনাঞ্চল, পাহাড়ি এলাকা ও জনবসতি এলাকায় ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ। উক্ত এলাকায় স্কুল-মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এতে লোকজন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এছাড়া জরিমানাকৃত ইটভাটার কোনো কাগজপত্র নেই। অবৈধভাবে ইটভাটা গুলো চলছিল।

তিনি আরো জানান, এএসবি ব্রিকসকে ১ লক্ষ টাকা, এমএআর ব্রিকসকে ৩ লক্ষ টাকা, ফোরবিএম ব্রিকসকে ২ লক্ষ টাকা, সিবিএম ব্রিকসকে ৩ লক্ষ টাকা ও ওয়াইএসবি ব্রিকসকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া লামা উপজেলার আরও ৩২টি ইটভাটা কোনো ধরনের নিয়ম-নীতি না মেনেই চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সেসব ইটভাটায় পর্যায়ক্রমে অভিযান চালানো হবে।

নাম প্রকাশ না করা সত্ত্বে ধ্বংসকৃত একটি ইটভাটার মালিক বলেন, ফাইতং ইউনিয়নের মূল অংশে আরো ২৩টি ইটভাটা সহ উপজেলায় মোট ইটভাটার সংখ্যা ৩৭টি। শুধু ৫টি ইটভাটায় অভিযান চালানোর বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ।

স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন ও সামশুল আলম বলেন, “ইটভাটার কারণে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হতো। বিশেষ করে পরিবেশের অনেক ক্ষতি হতো। অতিরিক্ত ধূলাবালির কারণে আমাদের চলাফেরায় সমস্যা হতো। ইটভাটাটি বন্ধ করে দেওয়ায় আমাদের উপকার হয়েছে।”

অভিযানকালে ৫টি ইটভাটার চূলায় পানি দিয়ে নষ্ট করা হয়। এছাড়া স্কেভেটর দিয়ে কাঁচা ও পোড়া ইট নষ্ট করা হয়েছে। এসময় র‌্যাব, ফায়ার সার্ভিস ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *