শংকর চৌধুরী খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০২০-০৫-০৮ ১১:৩২:২২ || আপডেট: ২০২০-০৫-০৮ ১১:৩২:২৭
শংকর চৌধুরী,খাগড়াছড়ি■ মহামারী করোনা ভাইরাস ৬৩ জেলায় রোগী শনাক্ত হলেও এখনো পর্যন্ত করোনামুক্ত রয়েছে, পাহাড় রাণী নামে খ্যাত পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি। নারায়ণগঞ্জ থেকে দীঘিনালা উপজেলায় ফেরা ব্যক্তির, প্রথম রিপোর্টে করোনা ভাইরাস পজিটিভ আসলেও দ্বিতীয় বার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তৃতীয় দফায় আবারো নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
জানা গেছে, করোনা প্রভাবে লকডাউন চলাবস্থায় বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মানুষের ভিরে গত ১৮ এপ্রিল এরশাদ চাকমা নামে একব্যক্তি স্ত্রীসহ জেলায় প্রবেশ এর সময়, দুটি চেকপোষ্টে তারা কুমিল্লা থেকে ফেরার কথা জানালেও মূলত তারা নারায়ণগঞ্জ থেকে ফিরেছেন। বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের সন্দেহ হওয়ায় তাদের নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। গত ২৯ এপ্রিল প্রথম রিপোর্টে এরশাদ চাকমার করোনা ভাইরাস পজিটিভ আসে। কিন্তু তার শারীরিক কোনো উপসর্গ না থাকায় বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
পরে, বিষয়টি নিশ্চিত হতে দ্বিতীয় দফায় আবারো স্বামী-স্ত্রী দুজনের নমুনা সংগ্রহ করে, চট্টগ্রাম পাঠানো হয়। গত রোববার (০৩ মে) দ্বিতীয় রিপোর্টে এরশাদ চাকমার নেগেটিভ আসে। একইসঙ্গে তার স্ত্রীর রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন নুপুর কান্তি দাশ।
নারায়ণগঞ্জ থেকে ফেরার পর থেকে সে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার কামুক্কাছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। বর্তমানে তাকে দীঘিনালা সদরে হোটেল ইউনিটিতে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাশ বলেন, আমরা তৃতীয় দফায় তার নমুনা সংগ্রহ করেছি। এবারো যদি নেগেটিভ আসে তাহলে তাকে সুস্থ হিসেবে ঘোষণা করবো। এছাড়াও, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: মিটন চাকমা জানান, খাগড়াছড়ি জেলা থেকে ২৬৬ টি স্যাম্পল চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। এরই মধ্যে ১৫২ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ আসেছে। তৃতীয় দফায় নমুনা সংগ্রহ করা এরশাদ চাকমার রিপোর্ট এখনো আসেনি এবং জেলায় মোট তিনজন আইসোলেশনে আছে। তাদের মধ্যে এরশাদ চাকমা, তার স্ত্রী ও মানিকছড়ি উপজেলা থেকে এক পুলিশ সদস্য রয়েছে।