চট্টগ্রাম, , মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

admin

লাইভে এসে কর্মী-সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন মামুনুল

প্রকাশ: ২০২১-০৪-০৮ ২২:১১:৫৩ || আপডেট: ২০২১-০৪-০৮ ২২:১১:৫৯

বীর কণ্ঠ ডেস্ক|
ব্যক্তিগত ভুলের জন্য কর্মী ও সমর্থকদের ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। তিনি বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত অসাবধানতার কারণে যে ত্রুটি বিচ্যুতি হয়েছে, আমার অসাবধানতার কারণে এবং যথাযথভাবে আমি পদক্ষেপ গ্রহণ না করার কারণে, আমি যেই ক্ষতির সম্মুখীন ব্যক্তিগতভাবে হয়েছি, সেজন্য আমি নিজেই মর্মাহত। আমার কারণে আজকে অনেকেই সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের কাছে আমি হাতজোড় করে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। এই ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আমি আছি এবং সারা পৃথিবীর সব মুসলমান ভাইবোনদেরকে এই ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’

বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে এসে এসব কথা বলেন মামুনুল।

লাইভে মামুনুল বলেন, আমি পুলিশকে তথ্য দিয়েছি। দুই স্ত্রীর নাম আলাদা করে বলেছি। আমার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ আমেনা তৈয়বার নামটি সামনে এনেছেন। জান্নাত আরা ঝর্ণার কাছ থেকে আমার অনুমতি ছাড়া তার স্টেটমেন্ট ও মন্তব্য ধারণ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নারী সদস্যরা। তারা কার অনুমতি নিয়ে জনসম্মুখে এসব প্রচার করেছে? আমার পর্দানশীন স্ত্রীর পর্দা তারা লঙ্ঘন করেছে। দেশ ও জাতির সামনে তার পর্দার বিধান লঙ্ঘন করে যে অধিকার তারা ক্ষুণ্ণ করেছে সেটার জন্য জনতার আদালতে বিচার দায়ের করলাম।

ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে মামুনুল হক বলেন, ‘বিশ্বের মুসলমান ভাইদেরও তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি। একের পর এক মামলা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে অনেক মানুষকে হয়রানি করা হবে। অথচ প্রকৃত যারা দোষী, যারা গিয়ে হামলা করলো, সেই সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে রাষ্ট্র নীরব। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। অথচ তাদের নাম পরিচয় দিবালোকের মতো পরিষ্কার। ইনশাআল্লাহ, ইতোমধ্যে তাদের ব্যাপারে আমি এজাহার দায়ের করেছি। আরও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

ফোনালাপ নিয়ে মামুনুলের বক্তব্য:
তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আমার চরিত্র হননের জন্য, শুধু ব্যক্তিগত গোপন ফোনালাপ ফাঁস করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি। এত এত ফোনালাপ যে ফাঁস হচ্ছে, কোনও একটি ফোনালাপ থেকে কি প্রমাণ করতে পেরেছেন যে, জান্নাত আরা ঝর্না অন্য কারও বিবাহিত স্ত্রী? অথবা এই কথা কি আপনারা প্রমাণ করতে পেরেছেন, তিনি আমার বিবাহিত স্ত্রী নন? বরং যতগুলো তথ্য প্রমাণ আপনারা ঘাটাঘাটি করেছেন, সবগুলোর মাধ্যমে এই কথাই দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়েছে যে, জান্নাত আরা ঝর্না আমার বিবাহিত স্ত্রী। সুতরাং, আমার দ্যর্থহীন বক্তব্য— আপনারা যারা আমার ব্যক্তিগত গোপন তথ্যগুলোকে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য আচরণগুলোকে যারা প্রচার করেছেন, তাদেরকে বলছি, আমি কীভাবে আমার স্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলবো, সেটা আমার ধর্মীয় এবং নাগরিক অধিকার। সেই বিষয়ে অন্য কাউকে নাক গলানোর সুযোগ ধর্ম, সমাজ ও আইন-আদালত দেয়নি।’

উল্লেখ্য, গত শনিবার (৩ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারী সঙ্গীসহ স্থানীয় লোকজনের হাতে আটক হন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি মাওলানা মামুনুল হক। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। মামুনুল হক ওই নারীকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী আমেনা তৈয়বা বলে জানায়। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে হেফাজতের নেতাকর্মীরা গিয়ে ওই রিসোর্টে ভাঙচুর করে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এরপর একে একে মামুনুল হকের ইস্যুতে একাধিক অডিও ফাঁস হয়। যেখানে মামুনুল হক ওই নারীকে শহীদুল ইসলামের সাবেক স্ত্রী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *