admin
প্রকাশ: ২০২০-০৩-০৮ ২০:৫৭:৫৮ || আপডেট: ২০২০-০৩-০৮ ২১:০০:৪৪
চকরিয়া অফিস :
দুই পরিবারের বিরোধ নিস্পত্তি থামাতে গিয়ে উল্টো মিথ্যা মামলার আসামী হলেন জসিম উদ্দিন নামের এক ভুক্তভোগী। তিনি একপক্ষের সালিশকার হিসেবে সমঝোতা বৈঠকে থাকলেও মামলাটিতে তাঁর দুই ছেলেকেও আসামী করা হয়েছে।
যদিও তারা ঘটনাস্থলে ছিলেন না। আপন ভাতিজা বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার এড়াতে ভুক্তভোগী ও তার দুই ছেলে বর্তমানে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বৈরাগিরখিল এলাকায়। ৮মার্চ রবিবার দুপুরে চকরিয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে হয়রানীর এসব অভিযোগ তুলে ধরেছেন ভুক্তভোগী জসিম উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বৈরাগিরখীল গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগী মো. জসিম উদ্দিন (৫০) বলেন, প্রতিবেশি আমার চাচাতো ভাই ডাঃ আবু তাহের পরিবার ও তাঁর ভাগিনা বখতিয়ার উদ্দিন ভুট্টোর পরিবারে ভিটেবাড়ি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারী উভয়পক্ষের লোকজন একমত হয়ে গ্রামে বিরোধ নিস্পত্তিতে সালিশ বৈঠক বসেন।
তিনি বলেন, সমঝোতা বৈঠকে আবু তাহের পরিবার আমাকে সালিশকার হিসেবে রাখেন। বৈঠকে উভয়পক্ষের সালিশকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোঃ ফখরুদ্দিন, স্থানীয় বাসিন্দা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. ফরিদুল হক ছাড়াও কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি।
সালিশ বৈঠক চলাকালীন সময় ডাঃ আবু তাহেরের স্ত্রী ও ছেলেদের সাথে বখতিয়ার উদ্দিন ভুট্টো গংয়ের লোকজন তর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিতর্কের একপর্যায়ে দুইপক্ষের মারামারি থামাতে আমি এবং উভয়পক্ষের সালিশকারগণ দু’পক্ষকে থামাতে চেষ্ঠা করা হয়। কিন্তু তারা আমাদের বাধা না মেনে উভয়পক্ষ দারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাকুপি শুরু করে।
এতে দুপক্ষের অন্তত ৬-৭ জন নারী-পুরুষ আহত হয়েছে। পরে এঘটনায় চকরিয়া থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেছে। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী জসিম উদ্দিন অভিযোগ তুলেছেন, সমঝোতা বৈঠকে আমি সালিশকার ছিলাম চাচাতো ভাই ডাঃ আবু তাহের পরিবারের পক্ষে।
সংঘর্ষ থামানোর চেষ্ঠা করেছি ভাইয়ের পরিবারের সবাইকে। কিন্তু পরে দেখি আবু তাহের গংয়ের মামলায় তাকেও জড়ানো হয়েছে মামলায়। এমনকী তার দুই ছেলেকে আসামি করা হয়। তিনি আরও বলেন, আমাকে আসামী করলেও কোন অনুশোচনা নেই।
কিন্তু ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থেকেও আমার কলেজ পড়–য়া দুই ছেলেকে আসামী করে মানবাধিকার ও আইনের শাষন লঙ্গন করা হয়েছে।
এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবী করছি। সাজানো ও হয়রানীমুলক মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপারের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।