ফারুক খান তুহিন
প্রকাশ: ২০২০-০৩-২৮ ২০:২২:১৬ || আপডেট: ২০২০-০৩-২৮ ২০:২২:২১
চট্টমেট্রো, বীর কন্ঠ :
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ঘাতকব্যাধি করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কে আছে সবাই। সরকার ঘোষিত ১০ দিনের লকডাউনে অতি জরুরি কাজ ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। সেই আতঙ্কে বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) ভোর থেকে সব ধরনের পত্রিকা বিলি বন্ধ করে দিয়েছে চট্টগ্রামের হকাররা।
সকাল ৮টার দিকে নগরের চেরাগী পাহাড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আশপাশের এলাকায় নেই শোরগোল। পত্রিকা গোছানোর সেই তোড়জোড় নেই, চারদিকে সুনসান নীরবতা। পাশের চা দোকানিরা জানালেন, আজ পত্রিকা নিতে হকাররা তেমন একটা আসেননি। যারা এসেছিলেন তারাও দ্রুত চলে গেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম সংবাদপত্র হকার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. ইউসুফ আলী জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা সাংগঠনিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি, কিন্তু সকাল থেকে অধিকাংশ হকাররা কাজে যোগ দেননি। এ কারণে চট্টগ্রামে লক্ষাধিক পিস দৈনিক পত্রিকা অবিকৃত অবস্থায় পড়ে আছে।’
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম লিটন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের আওতায় হকার আছেন ২৫০ জনের ওপরে। পুরো শহরে এমন হকারের সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার। আজ সবমিলিয়ে ৩০ থেকে ৩৫ জন পত্রিকা নিয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় পত্রিকাগুলোর প্রায় ১ লক্ষ পিস আমরা বিলি করি। এর বাইরে চট্টগ্রামের আজাদী ও পূর্বকোণ বিলি হয় ৬০ হাজার পিস। তবে আজ জাতীয় পত্রিকার অধিকাংশ গোডাউনে রয়ে গেছে। আজাদী ও পূর্বকোণের হিসাবটা তারা বলতে পারবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা হকারদের জীবন-জীবিকা নিয়ে চিন্তিত। পত্রিকা মালিকরা বলছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এ নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে কথা চালিয়ে যাচ্ছি। দেখি হকারদের জন্য কিছু করা যায় কি-না।’
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত জাতীয় ও স্থানীয়ভাবে প্রকাশিত সব দৈনিক পত্রিকা, সাপ্তাহিক ও সাময়িকপত্র সরবরাহ, গ্রহণ ও বিলি-বণ্টন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজশাহীর এজেন্ট ও হকাররা।
তবে বিশ্বের শীর্ষস্তরের বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকরা বলছেন, বিশ্বের যেসব দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে, আজ পর্যন্ত সংবাদপত্র, ছাপা পত্র-পত্রিকা বা চিঠি থেকে কোভিড-১৯ হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। শুধু খবরের কাগজ নয়, ডাকে পাঠানো বা অনলাইনে অর্ডার করা পণ্যের প্যাকেট নিয়েও আশঙ্কার কিছু দেখছে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
সূত্র : জাগো নিউজ