admin
প্রকাশ: ২০২০-০৮-২৫ ১৮:১১:৩৯ || আপডেট: ২০২০-০৮-২৫ ১৮:১১:৪৫
রাউজান প্রতিনিধি|
ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের মামলায় রাউজান থানার সাবেক ওসি কেফায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের প্রথম দিন আজ মঙ্গলবার ২৫ আগষ্ট আদালতে হাজির ছিলেন মামলার বাদী কাঞ্চন চৌধুরী। তবে বাদীর সাক্ষীর (বাদীর স্ত্রী) জবানবন্দি রেকর্ড করার কথা থাকলেও তার অনুপস্থিতির কারণে সেটা আর হয়নি। অসুস্থতার কারণেই সাক্ষী আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি বলে বাদী আদালতকে জানিয়েছেন।
পরে বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী ১ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। চট্টগ্রামের সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ কায়সার নিজেই মামলাটি তদন্ত করছেন।
গত ২৪ আগষ্ট চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল্লাহ কায়সারের আদালতে ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাউজান থানার সাবেক ওসি কেফায়েত উল্লাহসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন কাঞ্চন চৌধুরী। সেদিনই মামলাটি গ্রহণ করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য রাখা হয় এবং মামলার সাক্ষীকে জবানবন্দি দিতে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
২০১৮ সালের ১৭ অক্টোবর রাত ১১টায় শহর থেকে গ্রামের বাড়ি যান কাঞ্চন চৌধুরী। রাউজান পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কুন্ডেশ্বরী এলাকায় তার বাড়ি। ওই রাতের ১টায় ওসি কেফায়েত উল্লাহ ও তার বাহিনী হঠাৎ তার বাড়ি ঘিরে ফেলেন এবং কাঞ্চন চৌধুরীর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ঘর তল্লাশি করেন। একপর্যায়ে আলমারিতে থাকা মেয়ের বিয়ের জন্য জমি বিক্রির দুই লাখ টাকা, একটি চেইনসহ এক ভরি ১২ আনা স্বর্ণ হেফাজতে নেন কেফায়েত উল্লাহ। সঙ্গে কাঞ্চন চৌধুরীকেও থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। কাঞ্চন চৌধুরীকে নিয়ে যাওয়ার সময় তার মেয়ে কেফায়েত উল্লাহর কাছে জানতে চান, বাবাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন? তখন কেফায়েত উল্লাহ বলেন- তোমার বাবার থেকে মাপ চেয়ে নাও। তিনি আর ফিরে আসবেন না।
পরদিন কাঞ্চন চৌধুরীর স্ত্রী ও তার মেয়ে থানায় গেলে ক্রসফায়ার দেবে বলে আরও দুই লাখ টাকা চায়। টাকা দিতে অপারগ হলে কাঞ্চন চৌধুরীকে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এসব বিষয় আদালতে করা মামলার এজহারে উল্লেখ করেন কাঞ্চন চৌধুরী।